রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঈদের পোশাক ২০২৫: যা চলছে ট্রেন্ডে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদের পোশাক ২০২৫: যা চলছে ট্রেন্ডে

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিপণি বিতানগুলোতে চলছে জমজমাট কেনাকাটা। পরিবার আর নিজের জন্য পছন্দের পোশাক কিনছেন সবাই। চলতি বছর নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ও কেনার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়কেও দিচ্ছেন গুরুত্ব। 

নারী আর শাড়ি। দুটো বিষয় যেন এক সুতোয় গাঁথা। ঈদ উপলক্ষে নতুন শাড়ি কেনেন অনেকেই। এবার ঈদে আবহাওয়া কিছুটা গরমই থাকবে। তাই সুতি শাড়ির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। শাড়ির জমিনে প্রাধান্য পেয়েছে হাতের কাজ, মেশিনের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট আর হ্যান্ড পেইন্টের মাধ্যমে ফুলপাতা ও জ্যামিতিক নকশা। 


বিজ্ঞাপন


sharee1

অন্য সময়ের মতো এবারও দেশি তাঁতে বোনা শাড়ি, জামদানি প্রিন্টের হাফ সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ির প্রাধান্য বেশি দেখা যাচ্ছে। রঙের ক্ষেত্রে ট্রেন্ডে আছে হালকা সবুজ, আকাশি, ঘিয়া, ধূসর, হালকা গোলাপি। তাঁত আর হাফসিল্কের শাড়িগুলো মিলবে ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। আর সিল্ক, মসলিন বা জর্জেটের শাড়িতে এমব্রয়ডারি, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ করা শাড়ি কিনতে লাগবে দেড় হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। 

উৎসবের আবহে নারী ক্রেতাদের অনেকে জমকালো সিল্ক ও শিফনের ওপর জারদৌসি, সিকোয়েন্স কিংবা মিররের সূক্ষ্ম কাজের শাড়ি কিনছেন। পছন্দের শীর্ষে আছে অর্গাঞ্জা ওড়না, আরামদায়ক অনারকলি, স্ট্রাকচার্ড কাফতান এবং নানা ডিজাইনের কামিজ। ৩ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যে মিলছে এসব পোশাক। 


বিজ্ঞাপন


panjabi

শাড়ির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সেলোয়ার-কামিজ, বোরকা, কুর্তির মতো পোশাক। পাশাপাশি শিশুদের পোশাকের বিক্রিও ভালো হচ্ছে। পুরুষদের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় থাকায় ক্রেতারা সেই সুযোগ লুফে নিচ্ছেন।

পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে নিখুঁত অ্যাম্ব্রয়ডারি, চিকেনকারি, সিকোয়েন্স এবং হাতের কাজের পাঞ্জাবিতে প্রাধান্য দিচ্ছেন পুরুষরা। ট্রেন্ডি এসব পোশাক কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৩ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

sharee

শহরের নামকরা ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতেই বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আড়ং, এমব্রেলা, টুয়েলভ, জেন্টল পার্ক, আর্ট, ইনফিনিটি, রিচম্যান, স্টাইলিশ আবিয়া বোরকা, মনেরেখো শাড়িজ, শালিমার, নগর শাড়ি, বাটা, লোটো, এ্যাপেক্সের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি দেখা গেছে।  

ক্রেতারা বলছেন, মানসম্মত ও টেকসই হওয়ায় তারা ব্র্যান্ডের পোশাক কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিল রেখে এসব ব্র্যান্ড পোশাক তৈরি করছেন। ফলে বাজারে ক্রেতা বাড়ছে। 

shopping1

ব্র্যান্ডের পোশাকের চাহিদা সবসময় থাকে। ক্রেতাদের ভাষ্য, এগুলো নষ্ট হয় না সহজে। সেলাই, ফিটিংসহ যাবতীয় কাজ সুন্দরভাবে করা থাকে। এছাড়া এখন একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে কেনা পোশাক। মানুষ সময় বাঁচাতে উন্নত মানের ব্র্যান্ডের দোকানগুলো থেকে পোশাক কিনেন। 

কেবল পোশাক নয়, যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ক্ষেত্রে মানুষ এখন ব্র্যান্ডের কথা চিন্তা করে। কারণ বাইরের পণ্যগুলো ভালো হবে না মন্দ তা বোঝা যায় না। তাই ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনলে ক্রেতার ঠকার আশঙ্কা থাকে কম। 

পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে পুরুষরা বেছে নিচ্ছেন লোফার, নাগরা। আর নারীর আগ্রহে রয়েছে নানা কারুকার্যের হাই হিলস।

shopping2

ঈদের অন্যতম আকর্ষণ গয়না। গাউছিয়া, চাঁদনি চকের গয়নার বাজারে জার্মান সিলভার ও ভারতীয় গয়নার আধিক্য বেশি। রুপার ওপরে মিনাকারির কাজ, কৃত্রিম মুক্তা, পাথর দিয়ে সাজানো হচ্ছে গলার মালা, কানের দুল ও চুড়ি। মিলছে আয়না, কাপড় ও সুতার তৈরি হ্যান্ড মেইড গয়নাও। পছন্দ অনুযায়ী গয়না কিনছেন নারীরা। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর