আসছে ঈদ। নিজেকে সাজানোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সারছেন নারীরা। মেকআপের পর গালের দু পাশে যে হালকা গোলাপি রঙের আভা যোগ করা হয় তাকে ব্লাশ বলে। হঠাৎ করেই আবার ফিরে এসেছে ব্লাশ দিয়ে গাল রাঙানোর সেই ট্রেন্ড। এখন নারীরা গালের ফোলা অংশ আর নাক রাঙিয়ে নেন ব্লাশ দিয়ে। কমপ্যাক্ট, ক্রিম, চিক টিন্ট, স্টিক— বাজারে নানারকম ব্লাশ রয়েছে। তবে কেমন ত্বকে কোন রঙ মানাবে তা জানেন না অনেকেই।
ফাউন্ডেশন, কনসিলার, কমপ্যাক্ট, লিপস্টিকের মতো মেকআপের জিনিস কেনার আগে টেস্ট করে নেওয়া হয় স্কিন টোনের সঙ্গে কোনটি ম্যাচ করবে। ব্লাশের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই নিয়ম প্রযোজ্য। ত্বকের বর্ণ, ধরন সবকিছুর ওপর নির্ভর করে ব্লাশ বেছে নিন।
বিজ্ঞাপন
তৈলাক্ত ত্বকে ক্রিম ব্লাশ একদম চলে না। এতে ত্বক আরও তেলতেলে লাগে। অয়েলি স্কিনের জন্য বেছে নিন পাউডার বেজড ব্লাশ। বেকড ব্লাশও দারুণ কাজে দেয়। ত্বক শুষ্ক হলে ব্যবহার করুন ক্রিম ব্লাশ বা টিন্ট।
দিনের বেলা হালকা মেকআপ লুকের জন্যও বেছে নিন ক্রিম ব্লাশ বা টিন্ট। নরমাল ত্বক হলে স্টিক ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন। কাজের ফাঁকে ব্লাশ ব্যবহারের ইচ্ছে হলে কাজে আসতে পারে স্টিক ব্লাশ। চট করে এগুলো লাগিয়ে নেওয়া যায়। বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডে আছে টিন্ট ও স্টিক ব্লাশ।
বিজ্ঞাপন
ব্লাশ মানেই যে দুই গাল লাল বা গোলাপি হয়ে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। গায়ের রঙ চাপা বা শ্যামবর্ণ হলে হালকা গোলাপি বা লাল রঙের ব্লাশ বেছে নিন। ওয়ার্ম বা হলুদ টোনের উপর কোরাল, পিচ, অ্যাপ্রিকট রঙের ব্লাশ বেশি ভালো লাগে।
আরও পড়ুন- চিনিতে মিষ্টি ত্বক, জানুন ব্যবহারের উপায়
গায়ের রঙ উজ্জ্বল হলে সফট পিঙ্ক, বেরি বা রোজি মভের মতো রঙ বেছে নিন। কুল আন্ডারটোনের ওপর এমন গোলাপি আভার ব্লাশ দারুণ মানায়। আর যদি গায়ের বর্ণ নিউট্রাল হয়, তাহলে আপনি ভাগ্যবান। মোটামুটি সব ধরনের শেডের ব্লাশই এমন ত্বকে মানিয়ে যাবে।
এনএম