মানবদেহে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। ভালো আর মন্দ। এই খারাপ বা মন্দ কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে রক্তনালীকে করে ফেলে সরু আর শক্ত। ফলে দেহের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। রক্তচাপ বাড়ে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার কারণে বেড়ে যায় হৃদপিণ্ডজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার আশঙ্কা।
চর্বিজাতীয় খাবার, চিপস, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেসঙ্গে খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে বেশ কিছু খাবার। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানুন।
বিজ্ঞাপন
ওটস
প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন উপকারি এই খাবারটি। এতে উচ্চ মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী এই ‘সলিউবল ফাইবার’ খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়।
কমলা
সুপরিচিত এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এটি। এছাড়া কমলালেবুতে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরল কমাতে উপকারি ভূমিকা রাখে।
বিজ্ঞাপন
আপেল
কারো উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে চিকিৎসক আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ফলটি হৃদযন্ত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। সেসঙ্গে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মাছ
মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা থ্রি নামক ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি রক্ত থেকে কোলেস্টেরলের কমাতে বেশ উপকারী। বেশি করে সামুদ্রিক মাছ খেতে চেষ্টা করুন। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে।
রাজমা
বিভিন্ন ধরনের বিন ও রাজমাতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বেশ উপকারী। তাই, সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্যতালিকায় রাখুন উপকারি এ খাবারটি।
তবে এসব খাবারের ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড কম খেতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আপনি থাকবেন সুস্থ।
এনএম