রান্নায় গৃহিণীরা কারপাতা ব্যবহার করেন। খাবারের স্বাদ বাড়ায় এই ভেষজ। মসলা হিসেবে এর যেমন ব্যবহার রয়েছে তেমনি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত। কারিপাতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। ক্যালসিয়ামের খনি এই কারিপাতা। ডায়াবেটিসের যমও। আরও অনেক রোগের সঙ্গে লড়ে।
প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশটি কারি পাতা চিবিয়ে খেলে অনেক রোগ নির্মূল হবে। বা একেবারেই হবে না।
বিজ্ঞাপন

কারিপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এই বার্ধক্য রোধে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে আট থেকে দশটি কারিপাতা চিবিয়ে খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে। এবং মুখে কোনও প্রকার বার্ধক্যের প্রভাব দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: সূর্যের আলো ছাড়াও ভিটামিন ডি পাবেন এসব সবজিতে
কারিপাতা ডায়াবেটিসকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর। এটিকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এবং কারও যদি আগে থেকেই ডায়াবেটিস থাকে, তবে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
বিজ্ঞাপন

ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস কারিপাতা। এটি হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে। কারিপাতা খেলে গাঁটের ব্যথা উপশম হয়। একটানা কয়েক মাস এটি ব্যবহার করলে চমৎকার ফল পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কারিপাতা খাওয়া যেতে পারে। এবং খাবার হজমে অসুবিধা হলেও এটি খুবই উপকারী। কারি পাতাতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এবং হজম সাহায্য করে।

কারিপাতা হজমের উন্নতি, কোলেস্টেরল কমাতে এবং সম্ভাব্য বিপাক বৃদ্ধি করার ক্ষমতার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
এজেড

