রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বয়স অনুযায়ী ব্লাড সুগারের মাত্রা কত থাকা স্বাভাবিক?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বয়স অনুযায়ী ব্লাড সুগারের মাত্রা কত থাকা স্বাভাবিক?

প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে পুরো বিশ্বে এই রোগের রোগীর সংখ্যা ৫৪ কোটি। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা বেশিরভাগ সময়ই অজান্তে শরীরে বাসা বাধে। যতক্ষণে এটি ধরা পড়ে ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। 

ডায়াবেটিস হলে অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেকখানি। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যত দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যায়, তত সুবিধা হয় চিকিৎসায়।


বিজ্ঞাপন


blood-sugar2

অনেকে মনে করেন, ৪৫ বছর বয়সের পর প্রতি বছর অন্তত এক বার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবে এখন আর সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, তিন দশক আগেও শিশু ও তরুণ-তরুণীদের দেহে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল। কিন্তু গত তিন দশকে এই চিত্র বদলে গেছে। তাই কম বয়স থেকেই রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


বিজ্ঞাপন


blood-sugar3

কোন বয়সে রক্তে শর্করা/সুগারের মাত্রা কত থাকা স্বাভাবিক?

৬ বছরের নিচে শিশুদের ফাস্টিং সুগারের মাত্রা ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে হওয়া উচিত। ফাস্টিং সুগার মাত্রা বলতে খালি পেটে রক্তের শর্করার মাত্রা বোঝানো হয়।

৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।

blood-sugar4

১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের ফাস্টিং সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।

২০ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তাদের ফাস্টিং সুগার ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নিচে থাকা স্বাভাবিক। 

অনেকের শতকরার হিসেবে ব্লাড সুগারের মাত্রা মেপে থাকেন। সেক্ষেত্রে মিলিগ্রাম/ডিএল এর হিসেবে যেন মাত্রা বের হবে সেই সংখ্যাকে ১৮ দিয়ে ভাগ করলে শতকরার হিসাব মিলবে। যেমন- ২০ এর বেশি বয়সী ব্যক্তির ফাস্টিং সুগার ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল বা (১০০/১৮ = ৫.৫%) এর নিচে হওয়া স্বাভাবিক।

blood-sugar5

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ওষুধ খাওয়াই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করতে হবে বুঝেশুনে। মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার যত কম খাবেন ততই মঙ্গল। 

পাশাপাশি শারীরিক শ্রম বাড়াতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর