বাঙালি রান্নাঘরে নানা মশলা আর তেলের সঙ্গে ঘি এর উপস্থিতিও দেখা যায়। যেকোনো রান্নায় এক চামচ ঘি দিলে স্বাদ বদলে যায় মুহূর্তেই। পাশাপাশি বেড়ে যায় খাদ্যগুণও। তবে অনেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি খান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ঘি একটি সুপারফুড। রোজ খালি পেটে ঘি খেলে তার প্রভাব বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সকালে খালি পেটে গরম পানিতে এক চামচ ঘি মেশালে তৈরি হয়ে যায় ম্যাজিক টনিক। অনেকে আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও এই পদ্ধতিতে ঘি খান।
বিজ্ঞাপন

ঘি খেলে কি ওজন বাড়ে?
অনেকেই মনে করেন, ঘি খেলে নাকি ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত পরিমাণে ঘি খেলে মোটেও ওজন বাড়ে না। বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এটি। ঘিতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের কারণে পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ। ফলে টুকটাক খাওয়ার প্রবণতা কমে। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার ভয় থাকে না। ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
সকালে খালি পেটে গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা চলুন জেনে নিই-

হজমের ওষুধ
ঘি খেলে বাড়ে হজম শক্তি। এতে আছে দুধের বিশুদ্ধ ফ্যাট যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। খালি পেটে প্রতিদিন এক চামচ ঘি পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ঘি উৎকৃষ্ট খাবার। এটি পেট ফুলে থাকা, গ্যাসের সমস্যা, পেট ব্যথা কমায়। সকালে খালি পেটে গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে তা পাচনতন্ত্রের জন্য তা লুব্রিকেটের কাজ করে। ফলে কোনো অস্বস্তি ছাড়াই দিনভর সব খাবার হজম করা যায়।
আরও পড়ুন- ঘি খেলে যাদের বিষক্রিয়া হতে পারে
প্রাকৃতিক ইমিউমিটি বুস্টার
অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যান? সকালে খালি পেটে গরম পানিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খান। এতে দারুণ এনার্জি মিলবে। দিনভর দৌড়ঝাঁপ, কাজের চাপ সামলাতে পারবেন আরামে। ঘিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের যেকোনো টক্সিকিটি দূর করে। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীর থাকে চনমনে। এই পানীয় খেলে শীতের সর্দি কাশিও থাকবে দূরে।

কমায় হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা
ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস। দুগ্ধজাত উপাদান হওয়ায় ক্যালসিয়ামেরও অভাব পূর্ণ করে ঘি। ফলে জয়েন্টের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই উপাদানটি। শীতে হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা বাড়ে। এই ব্যথা কমাতে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খান।
আরও পড়ুন- রোজ সকালে এক চামচ ঘি খেলে কী হয়?
ঝলমলে ত্বক
মাইল্ড ফ্যাটি অ্যাসিড আর ভালো স্নেহ পদার্থে ভরা একটি উপাদান ঘি। এটি ত্বকের জন্য উপকারি। ঘিয়ের অ্যান্টি অ্যাক্সিডেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড সব উপাদানই সুস্থ ত্বকের জন্য দারুণ উপযোগী। শীতে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করে ঘি। ত্বককে করে নরম, তুলতুলে ও ঝলমলে। পাশাপাশি ব্রণ কমাতেও সাহায্য করে এটি।
এনএম

