এখনও করোনার প্রভাব পুরোপুরি ভুলতে পারেনি বিশ্ববাসী। প্রতি মরসুমে সর্দি-কাশি, দুর্বল ইমিউনিটি সিস্টেম মনে করাচ্ছে করোনাকালীন দিনগুলোকে। এর মধ্যেই উঁকি দিচ্ছে নতুন ভাইরাস। উৎপত্তি স্থল সেই চিন। দেশটিতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে একটি ভাইরাস। নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)।
নতুন এই ভাইরাসকে ঘিরে ইতোমধ্যে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সবার কপালে। বিশ্ববাসী জানতে চাইছেন এইচএমপিভি কি করোনার মতোই আগ্রাসী?
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, চিনের উত্তর দিকের প্রদেশগুলোতে বাড়ছে এই ভাইরাসের প্রকোপ। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ১৪ বছরের কম বয়সীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়। জনমনে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। এইচএমপিভিকে ঘিরে চিনে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এইচএমপিভি এর লক্ষণ কী?
বিজ্ঞাপন
২০০১ সালে সর্বপ্রথম এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। নিউমোভিরিডি-র অন্তর্গত এই ভাইরাস। রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাসের সঙ্গে সংযুক্ত এই ভাইরাস। ভাইরাসের সংক্রমণে সাধারণত কাশি, সর্দি, এবং গলা ব্যথার মতো হালকা উপসর্গ দেখা যায়। তবে যেসব শিশু, প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে। দেখা দিতে পারে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা।
করোনাভাইরাস আর এইচএমপিভি কী এক?
এইচএমপিভি এবং সার্স কোভ ২ বা করোনাভাইরাস ভিন্ন হলেও দুই ভাইরাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। চলুন দুটো ভাইরাসের মিল জেনে নিই-
দুই ভাইরাসই প্রথমে শ্বাসযন্ত্রে আঘাত হানে। এটি মৃদু থেকে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে।
দুটো ভাইরাসই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।
দুই ভাইরাসের সংক্রমণেই জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে।
শিশু ও বয়স্কদের জন্য দুটো ভাইরাসই বিপজ্জনক।
দুই ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, শারীরিক দূরত্বের মতো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে বর্তমানে ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে এইচএমপিভি ঠেকাতে এখনও কোনো ভ্যাকসিন নেই। এটি করোনার মতো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে সচেতন হওয়া জরুরি।
এনএম