পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খাতির যত্ন করলেও নিজের প্রতি উদাসীন থাকেন নারীরা। শারীরিক অসুস্থতাকে পাত্তাই দিতে চান না। এমনি সেরে যাবে— কথা দিয়ে বুঝ দেন। আর সমস্যা যদি হয় গোপন তাহলে তো কথাই নেই। লজ্জা আর সামাজিক ট্যাবুর ভয়ে সে সমস্যার কথা মুখেই আনতে চান না তারা। ফলে বেড়েই চলে স্বাস্থ্য জটিলতা।
নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা যোনিপথের শুষ্কতা। প্রায় অনেক নারীরা যোনিতে শুষ্কতা ও ব্যথা অনুভব করেন। বিশেষত শীতের মৌসুমে এবং যৌন মিলনের সময় এই সমস্যা বাড়ে। ফলে মিলনের সময় প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভূত হয়। কেন যোনি শুষ্ক হয় এবং কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা জানুন এই প্রতিবেদনে-
বিজ্ঞাপন
যোনি শুষ্কতার কারণ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যোনি শুষ্কতার প্রধান কারণ মেনোপজ বা প্রি-মেনোপজ। এই অবস্থায় শরীরে হরমোনের মাত্রা, বিশেষ করে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে যোনির ত্বক পাতলা ও দুর্বল হয়ে পড়ে। চিকিৎসার ভাষায় একে অ্যাট্রোফি বলা হয়। এই সমস্যা হলে যোনিপথের নমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায় এবং নারী যোনিপথে শুষ্কতা অনুভব করতে থাকে। যা অনেকসময় মিলনের সময় ব্যথার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যোনি শুষ্কতা থেকে মুক্তির উপায়
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখলে যোনিপথের নমনীয়তা বজায় থাকে। সারাদিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।
দই খান
দই একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক। এটি যোনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলো সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং শুষ্কতার সমস্যাও প্রতিরোধ করে। তাই খাবার পাতে দই রাখুন। তবে মিষ্টি দই নয়, খেতে হবে টক দই।
আরও পড়ুন-
ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান
সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ই গ্রহণ করলে যোনিপথের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি পায়, যা যোনিপথে শুষ্কতার সমস্যা কমায়। তাই খাবার পাতে রাখুন ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। অ্যাভোকাডো, ফ্ল্যাক্সসিড এবং কুমড়োর বীজ খেতে পারেন।
যদি মনে করেন যোনিপথের শুষ্কতার কারণ সংক্রমণ, তাহলে অবিলম্বে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যাকে এড়িয়ে গেলে তা আরও জটিল হয়।
এনএম