শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। যা ছাকনি যন্ত্র নামেও পরিচিত। বাংলায় যাকে বলে বৃক্ক। কয়েক দশকে কিডনি ডিজিজে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু তারপরও অনেকেই প্রাথামিক অবস্থায় এই সমস্যার লক্ষণ চিনে নিতে পারছেন না। আর সেই কারণে বিপদ আরও বাড়ছে বৈকি। তাই পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই কিডনির ক্ষয়ক্ষতির উপসর্গ সম্পর্কে ঝটপট জেনে নিন।
সারাদিন পিছু নেবে ক্লান্তি
বিজ্ঞাপন
আপনার কি সারাদিন ক্লান্ত লাগছে? কোনও কাজেই মন বসছে না? সেক্ষেত্রে একবার যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। কারণ, এমন লক্ষণের পেছনে কিডনি ডিজিজের হাত থাকলেও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পিরিয়ডের সময় বাড়ে মূত্রনালির সংক্রমণ, সামলাতে করণীয়
আসলে বৃক্কের হাল বেহাল হলে শরীরে টক্সিনের উপস্থিতি বাড়ে। আর সেই কারণে পিছু নিতে পারে ক্লান্তি। এছাড়াও কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর সেই কারণেও ক্লান্তির ফাঁদে পড়তে পারেন বলে মনে করছে কিডনি.ওআরজি। তাই এবার থেকে এই লক্ষণে সাবধান হন।

বিজ্ঞাপন
চোখে নেই ঘুম?
সাধারণত বিপাকের পর শরীরে কিছু ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি হয়। আর এসব পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে কিডনি যদি নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে না পারে, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিন তৈরি হয় না। যার ফলে শরীরে টক্সিনের উপস্থিতি বাড়ে। আর সেই সুবাদে শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। তাই হঠাৎ করে রাতের ঘুম উড়ে গেলে এবং বিছানায় শুয়ে শরীরে অস্বস্তি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ মতো করিয়ে নিন কয়েকটি টেস্ট। আশা করছি, এই কাজটা সেরে ফেললেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

বারবার পেতে পারে প্রস্রাব
আপনার ক্ষণে ক্ষণে প্রস্রাব পায়? কিছুতেই ইউরিন চেপে রাখতে পারেন না? তাহলে যে একবার কিডনির সমস্যার কথা ভাবতেই হবে। কারণ, কিডনির হাল বেহাল হলেও কিন্তু বারবার প্রস্রাব পায়। বিশেষত, রাতের দিকে ইউরিনের পরিমাণ বাড়ে। তাই এহেন পরিস্থিতিতে পড়লে ঝটপট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে যে স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে সময় লাগবে না।

তবে শুধু বারবার প্রস্রাব নয়, এর পাশাপাশি ইউরিনে ব্লাড দেখলেও সাবধান হতে হবে। কারণ এই সমস্যার পিছনেও কলকাঠি নাড়তে পারে কিডনি ডিজিজ। তাই আজ থেকেই সাবধান হন।
পা ফুললেই সাবধান
আমাদের শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত পানি বাইরে বের করে দেয় কিডনি। তবে এই অঙ্গটি ঠিকমতো কাজ না করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্রাব তৈরি হয় না। ফলে শরীরে উপস্থিত অত্যধিক পানি পায়ে জমতে শুরু করে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এই কারণে মুখও ফুলে যায়। তাই এমন কোনও লক্ষণ দেখলেই সাবধান হন।
এর পাশাপাশি অনেক সময় কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগীদের খিদেও অনেকটা কমে যায়। অল্প খেলেই ভরে যায় পেট। তাই এমন উপসর্গ ফুটে উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

সঙ্গী হতে পারে চুলকানি
কিডনির হাল বেহাল হলে সারা শরীর চুলকাতে পারে। এমনকি ত্বক হয়ে পড়তে পারে শুষ্ক। তাই এমন সব লক্ষণ ফুটে উঠলে ত্বকের রোগ ভেবে ফেলে রাখবেন না। বরং ঝটপট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ মতো করিয়ে নিন টেস্ট। তাহলেই সবটা সামনে চলে আসবে।
পায়ে ধরতে পারে টান
এই অঙ্গটি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। যেই কারণে পায়ের পেশিতে ধরতে পারে টান। তাই বারবার করে পেশিতে টান ধরলেও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
এজেড

