পিরিয়ডের আগে স্তনের ব্যথায় ভোগেন অনেকে। অস্বস্তিকর এই সমস্যায় পড়তে হয় বেশিরভাগ নারীকেই। এসময় অনেকের স্তন ভারী অনুভূত হয়ে ব্যথা হয়। কারো কারো বাহুমূলেও ব্যথা হয়ে থাকে।
পিরিয়ডের আগে স্তনে ব্যথা হয় কেন?
বিজ্ঞাপন
পিরিয়ডের আগে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে। এই দুই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই মূলত শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে স্তনের টিস্যুতে তরল ধারণ এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে স্তনে কোমলতা দেখা দেয়।
তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলার মাধ্যমে এসময় স্বস্তি পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন
সাপোর্টিং ব্রা
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পল্লবের মতে, এই সময়ে নারীদের সাপোর্টিং বা কমফোর্টেবল ব্রা পড়া উচিত। আঁটসাঁট ব্রা স্তনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
লবণ ও ক্যাফিন এড়ানো
পিরিয়ড হওয়ার আগে লবণ খাওয়া কমাতে হবে। এছাড়া ক্যাফিন ও মদ্যপান করা এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে স্তনে তরলের পরিমাণ কমবে এবং ব্যথা অনুভূত হবে না।
বরফ বা আইস ব্যাগ
স্তনে প্রচণ্ড ব্যথা হলে বরফ কিংবা আইস ব্যাগ লাগাতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমবে এবং দ্রুত আরাম পাবেন। সাময়িক স্বস্তি পেতে এই কাজটি করতে পারেন।
আরও পড়ুন- অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া সমাধান
উষ্ণ পানিতে গোসল
স্তনে ব্যথা কমাতে সামান্য গরম পানিতে করতে পারেন। গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের মাংসপেশি অনেকটাই শিথিল হয়। এভাবে গোসল করলে শরীরের যেকোনো ব্যথা-বেদনা অনেকটাই কমে যায়।
চাপ থেকে দূরে থাকা
বিভিন্ন রকম মানসিক চাপের প্রভাবেও অনেকসময় স্তনে ব্যথা হয়। ইয়োগা বা স্ট্রেস রিলিফ মেডিটেশন করার চেষ্টা করতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার পাওয়া সম্ভব।
হলুদ দুধ
হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। গরম দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। স্বস্তি মিলবে।
হালকা ম্যাসাজ
ব্যথা কমাতে স্তনে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং স্তনের ওপর চাপ কমবে। সঙ্গে কমবে ব্যথাও।
ফ্ল্যাক্স সিড
পিরিয়ডের আগে স্তনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড ভিজিয়ে খেতে পারেন। ব্যথা কমবে।