শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে ডিমের বিকল্প নেই। প্রশ্ন হল দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত? একটি নাকি দুইটি? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, শরীরের অবস্থা বুঝে ডিম খেতে হবে। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জানুন ডিমের পুষ্টিগুণ।
বিজ্ঞাপন
পুষ্টি উপাদানের আঁতুরঘর ডিম
ডিমে রয়েছে হাই ক্লাস প্রোটিন। অর্থাৎ এই প্রোটিনকে খুব সহজেই শরীর গ্রহণ করে নেয়। তাই নিয়মিত ডিম খেলে যে দেহে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য।
শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, আয়রন, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ফসফরাস, ফোলেট থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। তাই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে নিয়মিত ডিম খেতে ভুলবেন না যেন!
বিজ্ঞাপন
দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত?
ভারতের কলকাতার পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী জানালেন, কম পয়সায় ডিমের মতো অপর একটি পুষ্টিকর খাবার খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। তাই রোজের পাতে ডিম রাখতেই হবে। এমনকি যেকোনও সুস্থ-সবল, পরিশ্রমী ব্যক্তি চাইলে দিনে দুইটি ডিমও খেতে পারেন। তাতে খুব একটা সমস্যার কিছু নেই। তবে প্রতিদিন দুইটি করে ডিম খেলে পেট গরম হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে দিনে দুই বেলা ডিম না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
কোলেস্টেরল থাকলে ডিম বুঝে শুনে খান
হাইপারলিপিডিমিয়া বা হাই কোলেস্টেরলের ফাঁদে পড়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর এই রোগ থাকলে দিনে দুইটি করে ডিম খাওয়া একবারেই চলবে না। কারণ, ডিমের কুসুমে রয়েছে বেশ কিছুটা পরিমাণে কোলেস্টেরল যা কিনা হৃদরোগ বাড়িয়ে দেয়। তবে আপনারা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো একাধিক ডিমের সাদা অংশ খেতেই পারেন। তাতে সমস্যা হবে না বললেই চলে।
এইসব রোগ থাকলে ডিম খাওয়া বারণ
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে মেপে প্রোটিন খেতে হবে। তাই আপনারা ডিম খাওয়ার আগে একবার অন্তত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ঠিক একইভাবে যারা ইতিমধ্যেই হার্ট ডিজিজের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তারাও ডিম খাওয়ার লোভ সামলে চলুন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। এর পাশাপাশি ডিমে অ্যালার্জি থাকলেও এই খাবার এড়িয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানে কাজ।
ডিম সিদ্ধ করে খেলেই পাবেন উপকার
মনে রাখবেন, দিনে দুইটি ডিম খেয়ে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আপনাকে তা সিদ্ধ করে খেতেই হবে। কারণ ডিম ভেজে খেলে তার ক্যালোরি ভ্যালু অনেকটাই বেড়ে যায়। আর সেই সুবাদে বৃদ্ধি পায় ওজন। এমনকি একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই নীরোগ জীবন কাটাতে চাইলে এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলুন।
এজেড