নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা হলুদের গুড়া। এর রয়েছে ঔষধী গুণও। বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ড বাদে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া হলুদে ভেজাল থাকে। কিন্তু কীভাবে চিনবেন হলুদের গুড়া আসল না নকল?
হলুদ রঙ আনার জন্য নানা ধরনের রঙ ব্যবহার করা হয় হলুদের গুড়ায়। মেটানিল ইয়েলো বা লিড ক্রোমেট ব্যবহার করে অনেকসময় হলুদ গুঁড়ায় রঙ আনা হয়। অনেকসময় চকের গুঁড়াও মেশানো হয় হলুদে। মেশানো হতে পারে আরও নানারকম অশুদ্ধি। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বাজার থেকে কিনে আনা হলুদের গুড়া কতটা বিশুদ্ধ তা ঘরোয়া পরীক্ষায় জানা সম্ভব। তিন পদ্ধতিতে হলুদের গুড়ার বিশুদ্ধতার প্রমাণ মেলে।

পানি মিশিয়ে পরীক্ষা
প্রথমে একগ্লাস পানি নিন। সেখানে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে দিন। এবার মিশ্রণটিকে চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে দিন। এবার কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। যদি দেখা যায় গ্লাসের নিচে হলুদ জমা হয়েছে এবং গ্লাসের পানি হালকা হলদেটে হয়েছে। তাহলে বোঝা যায় হলুদ খাঁটি। অনেকসময় দেখা যায় গ্লাসের পানির নিচে তেমন কিছু জমেনি। উল্টা পানির রঙ ঘন বাদামি-হলদেটে রঙের হয়েছে। তাহলে আশংকা রয়েছে ওই হলুদ গুঁড়াতে লেড ক্রোমেট মেশানো হয়েছে। ওই ভেজাল শরীরের জন্য মারাত্মক খারাপ।
বিজ্ঞাপন
অ্যাসিড পরীক্ষা
যদি সম্ভব হয়, একটু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড সংগ্রহ করুন। একটি কাচের গ্লাসে বা টেস্ট টিউবে সামান্য হলুদ গুঁড়া নিয়ে সেখানে কয়েক ফোঁটা অ্যাসিড ঢালুন। এরপর ভালো করে নাড়াতে হবে। যদি সেই মিশ্রণের রঙ গোলাপি বা হালকা গোলাপি হয়ে যায় তাহলে হয়তো ওই হলুদ গুঁড়াতে মেটানিল রয়েছে। মেটানিল পেট খারাপ, ফুড পয়জনিং বা বদহজমের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
হলুদ চিনবে হাতের তালু
যে হলুদ গুঁড়া ব্যবহার করেন সেটাই কয়েক চিমটি হাতের তালুতে নিতে হবে। তারপর অন্য হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ভালো করে বেশ কিছুক্ষণ ঘষতে হবে। ২০ সেকেন্ড মতো ঘষলে যদি হাতে হালকা হলদেটে দাগ তৈরি হয়। তাহলে সেই হলুদ গুঁড়া খাঁটি।
উপরের তিন ঘরোয় পদ্ধতিতে যদি দেখেন বাজার থেকে কিনে আনা হলুদের গুড়া ভেজাল তাহলে এগুলো খাওয়া বন্ধ করুন। চাইলে হলুদ কিনে পরষ্কার করে নিজেই গুড়া বানিয়ে নিতে পারেন।
এজেড

