অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছি আমরা। বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর নানা ধূলিকণা দ্বারা সবচেয়ে আগে যে অঙ্গটি আক্রান্ত হয় সেটি ফুসফুস। কেননা নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যাবতীয় অশুদ্ধি সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছায়। এরপর তা মিশে যায় রক্তে।
আর এর মাধ্যমে দেখা দেয় নানা সংক্রমণ অ্যাজমা, সিওপিডির মতো স্বাস্থ্য সমস্যা। শীতকালে যার ঝুঁকি আরও বাড়ে। ইতোমধ্যে শীত আসি আসি করছে। এসময় সতর্ক না হলেই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে ফুসফুসের সংক্রমণ। জানুন। এই মৌসুমে ফুসফুস সতেজ রাখতে করণীয় কী-
বিজ্ঞাপন
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জরুরি
ফুসফুসের সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চলতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোয়া ভীষণ জরুরি। বাইরে বের হলে সঙ্গে রাখুন স্যানিটাইজার। সময় করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- ফুসফুস পরিষ্কার রাখে যে ৫ খাবার
ধূমপান থেকে থাকুন দূরে
ফুসফুসের সংক্রমণের জন্য কিন্তু কেবল দূষণ আর ধূলিকণা দায়ী নয়। এক্ষেত্রে ধূমপানও বড় ভূমিকা রাখে। এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ ‘সিওপিডি’ বেড়ে যাওয়ার জন্যও দায়ী ধূমপান। কেবল প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশে পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু আক্রান্ত হন। তাই সাবধানে থাকুন।
মাস্ক পরুন
করোনা চলাকালীন মাস্ক পরলেও এখন সেই অভ্যাস ভুলে গেছেন? আবার মাস্ক পরা শুরু করুন। ফুসফুস ভালো রাখতে চাইলে রাস্তায় বা ভিড়ে মাস্ক পরা জরুরি।
ব্যায়াম জরুরি
শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যায়াম আবশ্যিক। কিছু বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করার পাশাপাশি, তার কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে করা এই ব্যায়ামগুলো যেকোনো সময়েই করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন পরিমিত হয়। কেননা অতিরিক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার
শীতে ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খাওয়া জরুরি। ডায়েটে বেশি করে ফল ও শাক-সবজি রাখুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
এনএম