তরমুজের ভরা মৌসুম চলছে। বাজারে দেদারসে মিলছে তরমুজ। যদিও দাম এখনো চড়া। বিক্রেতারা কেজি দরে বিক্রি করায় ক্রেতারা ঠকছেন। তরমুজ কিনতে হবে বুঝে শুনে। পাকা তরমুজ চিনে কিনতে না পারলে টাকা উসুল হবে না।
তরমুজ পাকলে রঙ লাল হয়। পাকা তরমুজ খেতে সুমিষ্ট। যদিও পাকা তরমুজ চিনে কেনাটা দুষ্কর বটে! কেনা বাইরে থেকে দেখে খুব একটা বোঝা যায় না, পাকা না কাঁচা।
বিজ্ঞাপন
পাকা তরমুজ চিনবেন যেভাবে
তরমুজের কাঁচা ডাঁটা থাকলে বোঝায় এটি পাকেনি। পাকার আগেই তরমুজটি বাজারে আনা হয়েছে। এ ধরনের তরমুজ কিনবেন না। এমন তরমুজ কিনুন, যার ডাঁটা শুকিয়ে গিয়েছে। সেটি মিষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের তরমুজ কেনাই ভালো। সেগুলোর মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অনেকে মজা করে তরমুজকে নারী-পুরুষ— দুইভাগে ভাগ করেন। গোলগুলোকে বলা হয় নারী তরমুজ। আর পুরুষগুলো লম্বাটে। এর মধ্যে নারী তরমুজ বেশি মিষ্টি হয়, আর পুরুষগুলো একটু পানসে।
বিজ্ঞাপন
কেনার সময়ে তরমুজের গায়ে টোকা দিয়ে দেখুন। ভারি আওয়াজ হলে, সেটি রসালো ও পাকা তরমুজ।
রসে ভরা মিষ্টি তরমুজ হবে ভারী। হাতে নিয়ে যদি তরমুজটি হালকা বা ফাঁপা মনে হয়, তাহলে সেটি না কেনাই ভালো।
তরমুজের যে অংশ দীর্ঘদিন মাটির সঙ্গে লেগে থাকে, সেই অংশ হলুদ হয়ে যায়। তরমুজ কেনার আগে দেখে নিন, তাতে হলদে দাগ আছে কি না। বড় হলুদ দাগ থাকা মানে তা পেকে যাওয়ার পর জমি থেকে ওঠানো হয়েছে। সাদা দাগ মানে তরমুজ কাঁচা অবস্থায় জমি থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে।
একদিক বড় অন্যদিক ছোট— এমন তরমুজ কিনবেন না। অনেক সময়ে পানির অভাবে তরমুজের এমন আকার হয়। এসব তরমুজে রস বেশি হয় না।
এজেড

