চা-কফি কম বেশি সবাই পান করেন। এর রয়েছে পুষ্টিগুণও। বিশেষ করে কফির কথাই ধরা যাক। অনেকেই দিনের শুরুটা করেন এক কাপ গরম কফি দিয়ে। সকালে ক্যাফিনের ডোজ আলস্য কাটায়। শরীরও চাঙ্গা করে।
কেউ খান দুধ চিনি দিয়ে কফি আবার কারও পছন্দ চিনি ছাড়া এস্প্রেসো কফি। তবে বুলেট কফির নাম শুনেছেন কখনও? শোনেননি হয়তো।
বিজ্ঞাপন
বুলেট কফিতে চুমুক দিলেই না কি ঝটপট মেদ ঝরানো যায়। এমনটাই দাবি করছেন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি মাত্র তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায় বুলেট কফি। এই তিনটি উপাদান হচ্ছে-নারিকেল তেল, মাখন এবং ঘি।
কীভাবে বানাবেন বুলেট কফি?
এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে নিন এক টেবিল চামচ কফি। তবে কড়া কফি খেতে পছন্দ করলে পরিমাণ নিজের স্বাদ মতো বাড়িয়ে নিতে পারেন। তার পর সেই কফিতে মিশিয়ে দিন এক চা চামচ ঘি, মাখন ও নারিকেল তেল। ভালো করে নাড়িয়ে নিন কফি। অল্প করে কফির মধ্যে মিশিয়ে নিন দারুচিনি বা এলাচ গুঁড়া। পরিবেশন করুন একেবারে গরম গরম।
বিজ্ঞাপন
পুষ্টিগুণ
পুষ্টিবিদরা বলছেন, মাখন, ঘি এবং নারকেল তেল মিশিয়ে এই কফি খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা ক্লোরোজিনিক অ্যাসিড নামের ফাইটোকেমিক্যালের৷ শরীরচর্চার আগে এই কফি খেলে কর্মদক্ষতা বাড়ে।
বিশেষ করে যারা কিটো ডায়েট বা লো-কার্ব ডায়েট করেন তাঁদের জন্য বেশ উপকারী এই বুলেট কফি। চিনি ছাড়া খফি অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। তবে চিনি না থাকলেও স্বাদে কিন্তু মোটেই মন্দ নয় এই কফি।
তবে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সাবধান করছেন, একটানা এই কফি পান করা শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে এই কফি নিয়মিত খাওয়াটা মোটেই উচিত নয়। ভুলেও এই কফি খালি পেটে খাবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এজেড