মসলা হিসেবে জিরা গুরুত্বপূর্ণ। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। জিরা আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে জিরার পানি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপাদেয়। এই রমজানে ইফতারের ক্লান্তি দূর করতে পান করতে পারেন জিরা পানি। যা সুপার এনার্জি ড্রিংক হিসেবে কাজ করে।
রমজানে প্রতিদিন ইফতারে এক গ্লাস জিরার পানি পান স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
বিজ্ঞাপন
ইফতারে জিরা পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স যেমন ঠিক হয়ে যায়, তেমনি পটাশিয়ামের ঘাটতিও দূর হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার কমতে শুরু করে।
নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। জিরার ভিতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এনার্জি এতটা বাড়িয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরের ডায়াজেস্টিভ এনাজাইমের উৎপাদন বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরাও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জিরায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর বুকে মিউকাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে, সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে নানাবিধ রেসপিরেটরি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
বিজ্ঞাপন
জিরায় উপস্থিত আয়রন শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও দূর করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
জিরা পানি ত্বকের জন্য বেশি উপকারি। নিয়মিত জিরা পানি পান করলে ত্বকের ভিতরের পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাবে ত্বকের ভেতরে উপস্থিত টক্সিক উপদানেরা বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ত্বকের বয়স তো কমেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
বদ-হজম বা গ্যাস-অম্বল রোগের রোগী হলে, আজ থেকেই এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো জিরা ভিজিয়ে সেই পানি পান ইফতারে পান করুন।
জিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার এত সুন্দরভাবে হজম হতে শুরু করে যে ওজন বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খালি পেটে জিরা ভেজানো পানি খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জিরা ভেজানো পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
ডিএম/এএস/এজেড
