খাবার কম খাওয়াটাকেই ওজন কমানো বা মেদ ঝরানোর প্রথম এবং অন্যতম প্রধান উপায় বলে মনে করেন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়া কমানো সঠিক উপায় নয়। বরং খাবার তালিকায় রাখতে হবে নেগেটিভ ক্যালরিযুক্ত খাবার।
এই ধরণের খাবার হজম করার সময়ে শরীরের ভেতরের প্রচুর ক্যালরি পুড়ে গিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত হতে থাকলে আপনার ওজন বাড়তে পারবে না কখনও। তাই খাবার কম না খেয়ে অতিরিক্ত নেগেটিভ ক্যালরিযুক্ত খাবার এখন থেকে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে নেওয়াটাই উত্তম। এতে খাবেন বেশি কিন্তু ওজন বাড়বে না।
বিজ্ঞাপন
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু নেগেটিভ ক্যালরির খাবার সম্পর্কে।
শসা: শসা নেগেটিভ ক্যালরিতে পরিপূর্ণ। শসা জল, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলির সমৃদ্ধির জন্য পরিচিত। এগুলো ডায়বেটিসকে দূরে রাখতে এবং শরীরকে হাই়ড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। মাত্র ১৫ ক্যালরিবিশিষ্ট শসা বিশ্বের বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিদেরা খেতে উপদেশ দেন আমাদের।
গাজর: গাজরে আছে— পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ভিটামিন এ, ই, সি এবং কে। এটি কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও সাহায্য করে। গাজর শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্যালরি পোড়াতে সক্ষম।
আপেল: ফাইবার-সমৃদ্ধ অতি পরিচিত একটি ফল আপেল। যা আপনার অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলবে সহজেই। আপেলে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন থাকে, এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার যা ওজন কমাতে সহায়ক। এবং এটি শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেলে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দেয়।
বেরি: ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি বা স্ট্রবেরি আপনি সালাদ, স্মুদি, ওটমিল এবং অন্যান্য খাবারে মিশিয়ে খেতে পারেন। বেরিতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। আধ কাপ বেরিতে মাত্র ৩২ ক্যালোরি থাকে। তাই নেগেটিভ ক্যালোরিযুক্ত খাবার হিসেবে এটি দুর্দান্ত।
টমেটো: টমেটোর প্রতি ১০০ গ্রামে সর্বনিম্ন ১৯ ক্যালোরি রয়েছে। খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি-এর রসালো এবং সুস্বাদু উৎস হওয়া ছাড়াও এতে রয়েছে লাইকোপেন। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ওজন কমাতে সক্ষম এই টমেটো আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কার্যকর।
এএ

