ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা জাল টাকার মামলায় অবশেষে খালাস পেয়েছেন সেই হাসান মজুমদার।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক তেহসিন ইখতেখার এই রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালে ঢাকার মতিঝিলে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৫ লাখ জাল টাকা পাওয়া নিয়ে করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এ দিন আদালত হাসানসহ অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- পল্টনের ‘হোটেল বন্ধু’র ম্যানেজার হাসান মজুমদার ও একই হোটেলের বাবুর্চি সোহেল রানা।
ভুক্তভোগী হাসান মজুমদার জানান, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর দুপুরে মতিঝিল এলাকার বন্ধু হোটেলে আসেন মতিঝিল জোনের গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। ওই সময় তারা হোটেল ম্যানেজার হাসান ও হোটেল বাবুর্চি সোহেল রানাকে ধরে নিয়ে যান। এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে তাদের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তবে সেই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে জাল টাকার মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগের পর হাসানের বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচটিরও বেশি কমিটি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও তার ভাই। বিষয়টি নিয়ে গত ৬ বছর ধরে বিভিন্ন দফতরে ঘুরেছেন তিনি। সবশেষ ব্যারিস্টার সুমন তার অভিযোগটি নিয়ে লাইভ ভিডিও প্রচার করলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
বিজ্ঞাপন
>> আরও পড়ুন: ডাকাত থেকে যেভাবে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়ান মাসুদ
খালাসের পর ভুক্তভোগী হাসান ঢাকা মেইলকে জানান, ঘটনার দিন (২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর) ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি তার হোটেলের তৃতীয় তলায় প্রবেশ করেন। এরপর তারা তাকে খুঁজতে থাকেন এবং জিজ্ঞেস করতে থাকেন তিনি হাসান কি-না? ওই সময় হাসান তাদের পরিচয় জানতে চান। পরে ডিবি পরিচয় দিয়ে হাসানকে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়।
হাসান বলেন, ওই সময় ডিবির সদস্যরা হোটেলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো খুলে নেয়। তারা কোনো প্রকার কথা বলার সুযোগ না দিয়েই আমাকে ও আমার সহকর্মীকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর আমাদের কাছে তারা ৩ লাখ টাকা দাবি করে। পরে সেই টাকা আমরা দিতে না পারায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জাল টাকার মামলা দেয়। আমাদের নাকি তারা ফকিরাপুল এলাকা থেকে জাল টাকাসহ গ্রেফতার করেছে!’ তাই এ মামলায় আমরা আদালতে ভিডিও ফুটেজ দাখিল করেছি। আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আমাদের খালাস দিয়েছেন।
এমআইকে/আইএইচ