বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রবেশন দিতে নির্দেশনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রবেশন দিতে নির্দেশনা
ফাইল ছবি

বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রবেশন দিতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশনা দেওয়ার আদেশের পাশাপাশি পৃথক প্রবেশন বিভাগ প্রতিষ্ঠার আদেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ হিসাবে নিম্ন আদালতকে উপযুক্ত মামলায় আইন অনুযায়ী প্রবেশন প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশনাল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে রুলসহ এই নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

>> আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে স্লোগানের ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে ২১ আইনজীবী

এ দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মো. আসাদ উদ্দিন। এছাড়া শুনানিতে তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ মিসবাহ উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুল ইসলাম।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন বলেন, হাইকোর্ট প্রবেশন আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রবেশন প্রদানে নিম্ন আদালতকে নির্দেশনা দেওয়ার আদেশ এবং পৃথক প্রবেশন বিভাগ প্রতিষ্ঠার আদেশ কেন দেওয়া হবে না তা জনতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মাঝে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ হিসেবে নিম্ন আদালতকে উপযুক্ত মামলায় আইন অনুযায়ী প্রবেশন প্রদানের নির্দেশনা দেন।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: নাদিয়াকে চাপা দেওয়া সেই বাসচালক-হেলপার রিমান্ডে

আসাদ উদ্দিন জানান, প্রবেশন আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী পুরুষ আসামির ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারায় অপরাধের দণ্ড ব্যতীত যে কোনো দণ্ডের ক্ষেত্রে প্রবেশন পেতে পারে। আর মহিলা আসামি মৃত্যুদণ্ড বাদে যে কোনো দণ্ডের ক্ষেত্রে প্রবেশন পেতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- অত্যন্ত স্বল্পদণ্ডের মামলাও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে দায়রা আদালত, হাইকোর্ট বিভাগ ঘুরে আপীল বিভাগ পর্যন্ত চলে আসছে। অথচ এমন অসংখ্য মামলা আছে যেগুলোতে প্রবেশন আদেশ হলে প্রথম কোর্টেই শেষ হয়ে যেতে পারত। এমনিভাবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসময় যায়। মামলা জট তৈরি হয়।

>> আরও পড়ুন: নায়িকা শিমু হত্যা: তার স্বামীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

রিটকারী এই আইনজীবী বলেন, সারাদেশে ৬৮টি কারাগারে অনুমোদিত বন্দিসংখ্যা ৪২ হাজার ৬২৬ জন। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রদত্ত কারা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, কারাগারের মোট বন্দিসংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৪৯৮ জন। এতে কারা ব্যবস্থাপনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা, সংশোধনের পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।

রিটকারী অন্য আইনজীবীরা হলেন- মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, আলাউদ্দিন, রেজাউল করিম এবং মোহাম্মদ হারুন।

এআইএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর