রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেই এটি কবে থেকে কার্যকর হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

শেয়ার করুন:

২২ জুন একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ; এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে সেটিই করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিলে তা কখন থেকে কার্যকর হবে সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।

বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের শুনানিতে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।


বিজ্ঞাপন


প্রধান বিচারপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ, যাতে এটা বার বার বিঘ্নিত না হয়। 

এদিন সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায়ের দ্বিতীয় দিনের রিভিউ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়।

এর আগে গতকাল বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে খায়রুল হকের দেয়া রায়টিকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তা বাতিল চান আইনজীবীরা।

সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে এর আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তিসহ ৫টি আবেদন করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর