৯ বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাজী আব্দুল লতিফ ভূইয়া ডিগ্রি কলেজের গেট থেকে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবিরের আদালত শুনানি শেষে এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাভোগ করতে হবে তাদের।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শাস্তি কোন দেশে কেমন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হাজী আ. লতিফ ভূইয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও ভিকটিমের সহপাঠী শামীম হোসেন, তার দুই সহযোগী নাজমুল এবং জিলকদ।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মমালার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম হাজী আ. লতিফ ভূইয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শামীমও একই কলেজে তার সঙ্গে পড়াশোনা করতেন। ভিকটিম কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শামীম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকেন। তবে ভিকটিম তা প্রত্যাখান করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড ও অঙ্গ কর্তন!
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ওই শিক্ষার্থী রায়েরবাগের বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশে বের হন। ১১টার দিকে কলেজের গেটে পৌঁছান। সেখানে শামীম তার দুই সহযোগী নাজমুল এবং জিলকদকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে আসেন। ভিকটিমকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে তাকে মাতুয়াইলে নিয়ে তিনজনের মিলে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরই যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এআইএম/এএইচ
