সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক আবেদনের শুনানি করে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের আবদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলায় গতকাল (সোমবার) আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখান আদালত।
মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ নামে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলন অর্থাৎ সর্বমোট ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ১৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ, ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে-এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলেন, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর ২০ বিধি অনুযায়ী আসামি আনিসুল হকের শুরু থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথি জব্দপূর্বক পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
এআইএম/ইএ