শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চাওয়া রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চাওয়া রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রিটকারি আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটের পক্ষে শুনানি করার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এই রিটটি খারিজ চান।


বিজ্ঞাপন


শুনানিতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হাইকোর্টকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উদ্দেশ্য নেই কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করা। সংবিধানে সংগঠন ও রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে স্বাধীনতা রয়েছে, এই সরকার সেটিতে বিশ্বাস করে। আর বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সঙ্গে জড়িতদের অন্যায় অবিচারের বিচার আইন আদালতের মাধ্যমে হবে। সেটার জন্য কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক ভালো নেতাকর্মী আছেন, যারা তাদের আদর্শে বিশ্বাস করেন। তাই তাদের সে বিশ্বাসের দল নিষিদ্ধ করা আদালতের কাজ নয়। ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা, জেগেছে আজ জনতা’ এমন শ্লোগানের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে নতুন স্বাধীনতা এসেছে, সেখানে সবার বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হতে হবে। তাই রাজনৈতিক দল পরিচালনার স্বাধীনতা এ সময় বন্ধ হতে পারে না।

আরও পড়ুন

‘শীর্ষ নিউজ ডটকম’ চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি ৪ সেপ্টেম্বর

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আমরা দেখেছি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে। যেটি আমাদের কারোরই কাম্য ছিল না। বিগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সমর্থনের ও অবিচারের প্রেক্ষাপটেই এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে বিচার বিভাগে কোনো আক্রমণ হলে সেটি আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণেরই বিষয়। তাই কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে মাঠের রাজনীতি আদালতে টেনে আনা ঠিক না। আর কোনো রাজনৈতিক দল এই রিট নিয়ে আদালতে আসেনি।


বিজ্ঞাপন


এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল রিটটি খারিজ চেয়ে হাইকোর্টকে বলেন, এই রিটটি যাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেই আওয়ামী লীগকে রিটে পক্ষভূক্ত করা হয়নি এবং কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এই রিটের কোনো লোকাস স্ট্যান্ডই নেই। এই রিট মেনটেইনেবল নয়। তাই রিটকারিকে কস্ট করার আবেদন করছি।

একপর্যায়ে পর্যায়ে রিটকারি আইনজীবী শুনানির জন্য আরও সময় চাইলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এই রিটেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর চেয়ে করা অংশটি আগের শুনানির দিন ‘নট প্রেস’ (উত্থাপিত নয়) করেন রিটকারি। ওইদিন শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান অনুযায়ী আছেন। তারা কতদিন থাকবেন সেটা আদালতের আদেশের জন্য নিয়ে আসার বিষয় না। রিটের এই বিষয়টি মেইনটেইন মেনটেইনেবল না।

মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এই রিটটি করেন।

এআইএম/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর