সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবার ঈদ করবেন ঢাকাতেই। পরিবার-পরিজন ও আইনজীবীদের নিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উদযাপন করবেন নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব। ছোটবেলার ঈদ আনন্দ এবং এখনকার ঈদ নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। কথা বলেছেন: জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম মল্লিক।
ঢাকা মেইল: ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিল?
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন: ছোটবেলার ঈদের আনন্দ অনেক মিস করি। সে সময় ঈদে বেলুন উড়ানো, রঙিন কাগজ দিয়ে মাঠ সাজানো, বন্ধুদেরকে চিঠি লিখে দাওয়াত, এক বন্ধু আরেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ এসব ছিল ঈদের আনন্দ। সে সময়টা অনেক ভালো লাগত। এখনকার ঈদ আনন্দও ভালো লাগে, তবে তখন আর এখনকার ঈদের মধ্যে পার্থক্য আছে। সেই দিনগুলো মিস করি। এখন আর আর আগের মতো মজা হয় না ঈদে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ঈদ করতাম। এখন বড় হয়েছি, নিজে বাবা হয়েছি। ছেলেকে বিয়ে করিয়েছি, মেয়েকে বিয়ে দেব। আর সেই ছোটবেলার ঈদ আনন্দ খুঁজে পাই না। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেকটাই চেঞ্জ হয়ে গেছে।
ঢাকা মেইল: এবারের ঈদ কোথায় উদযাপন করবেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন: এবারের ঈদ ঢাকায় উদযাপন করব। স্ত্রী, ছেলে, ছেলে বউ, নাতনি ও মেয়েকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করব। আমার ভাইয়েরা ঢাকাতেই থাকেন। অন্য আত্মীয়-স্বজনও এখানে আছেন। তাদের সবাইকে নিয়েই এবারের ঈদ কাটবে।
ঢাকা মেইল: আপনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ঈদে এলাকায় যাচ্ছেন না কেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন: এবারের রমজানে গ্রামের বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকায় বেশ কয়েকবার ঘুরতে গিয়েছি। আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনেছি। সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতাও করেছি। এবারই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। হাজার হাজার আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব করি। এজন্য সব সময় চাইলেও গ্রামের বাড়িতে ঈদ আনন্দ করতে পারি না।
ঢাকা মেইল: ঈদের দিন কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন?
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন: আমি জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করব। সকাল সকাল উপস্থিত হবো। এরপর মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। কুশল বিনিময় করব। আইনজীবী বন্ধুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করব। সবার সঙ্গে দেখা হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি করব। এরপর পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ আনন্দ করব।
এআইএম/জেবি