দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে নামতেই পারেনি দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। অন্য এক হেভিওয়েট ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক ভোটের মাঠে নামলেও তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ আবেদন করেছেন। ফলে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
গত ১৮ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফিরে পান। তবে ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর একই বিষয়ে সাদিক আবদুল্লাহর অপর এক আবেদনের শুনানি করার জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ দিন ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেন।
এছাড়াও বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেন।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী
বিজ্ঞাপন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬৫ জন প্রার্থী। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের এসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পান।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জ-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ এর তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম রব্বানী এবং বগুড়া-৩ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।
গত ১৮ ডিসেম্বর ২১ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। এর মধ্যে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ১৩ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এরা হলেন, খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা, নওগাঁ-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আকতারুল আলম, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাখাওয়াত হোসেন, ময়মনসিংহ-৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) এম এ সালাম এবং গণতন্ত্রী পার্টির একাংশের সাত জন: তারা হলেন-ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক (কিশোরগঞ্জ-১), মো. আশরাফ আলী (কিশোরগঞ্জ-২), দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (কিশোরগঞ্জ-৩), মো. মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া (নীলফামারী-৩), মিহির রঞ্জন দাশ (সুনামগঞ্জ-২), মো. খায়রুল আলম (পাবনা-৩) ও মো. মতিউর রহমান (খুলনা-২)।
একই দিন (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ থেকে ৯ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। তারা হলেন- কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ। ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাশেম আজাদ, চট্টগ্রাম-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম, রাজবাড়ী-১ ও ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আ. মান্নান মুসল্লী, ময়মনসিংহ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাঈম হাসান, কুমিল্লা-৯ আসনের বিএনএমের প্রার্থী মো. হাছান মিয়া, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৪ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা।
গত ১৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত থেকে ৩ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। তারা হলেন: ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল এবং গাজীপুর-৪ আসনে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা আলম আহমেদ।
গত ১৯ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. ইকবাল করিম ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে দুজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তারা হলেন, চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পাবনা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আজিজ খান। একই দিনে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ময়মনসিংহ-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রার্থিতা ফিরে পান।
২০ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ১০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তারা হলেন: ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবির খানের (রিন্টু আনোয়ার), নওগাঁ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীনুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরান, খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম রওশন জামিল, নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আইয়ুব হোসেন, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডি এম মাহবুব-উল-মান্নাফ, চাঁদপুর-৩ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাসিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের প্রার্থী শাহ মো. নূর-ই শাহী, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার।
২০ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে দুজন প্রার্থিতা ফিরে পান। তারা হলেন: বরগুনা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে, ২০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ মনোনীত সালাহ উদ্দিন আহমেদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা রিট খারিজ হয়। ঋণখেলাপির দায়ে সালাহ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন সালাহ উদ্দিন। গত ১৫ ডিসেম্বর সেই আপিল নামঞ্জুর করে দেয় ইসি। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০ ডিসেম্বর সালাহ উদ্দিন আহমদের রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও নোয়াখালী-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে তার করা রিটটি ২০ ডিসেম্বর সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আর নোয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবদুল মান্নানের করা অপর রিটটি ১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সরাসরি খারিজ করে দেন।
২১ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান ৯ জন। এদিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত থেকে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ এবং চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী প্রার্থিতা ফিরে পান।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। তারা হলেন, জামালপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শাহীনুজ্জামান, দিনাজপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তোজাম্মেল হক, ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসতিয়াক আহমেদ সৌকত, দিনাজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদ পারভেজ, ভোলা-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মল্লিক, নড়াইল-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকদার মো. শাহাদাত হোসেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। তারা হলেন: সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিবুর রহমান। ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. উসমান গনি, রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান, খুলনা-৫ এ বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী এস এম আব্দুল জলিল, এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এফ জসিম উদ্দিন আহমেদ।
গত ২৬ ডিসেম্বর নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম প্রার্থিতা ফিরে পান। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
২৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পান ৪ জন। এর মধ্যে এদিন গণতন্ত্রী পার্টির একটি অংশের মনোনীত ৩ জন প্রার্থী আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। তারা হলেন শাহাদাত হোসেন (ঢাকা-৮), মঞ্জুরুল ইসলাম (বগুড়া-৪) ও হাফিজুর রহমান মিন্টু (ঢাকা-৫)।
গত ২৭ ডিসেম্বর বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হক প্রার্থিতা ফিরে পান।
গত ২৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমির প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এছাড়াও গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রার্থীদের আপিল শুনানি নিয়ে ইসির আপিল ট্রাইব্যুনাল ২৮৬টি আপিল মঞ্জুর করে এবং একই সময়ে ২৭৩টি আবেদন নামঞ্জুর করে। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে অনেক প্রার্থী হাইকোর্টে ও আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় ৬৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন (১৭ ডিসেম্বর) বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জনে দাঁড়িয়েছিল। পরে আদালতে গিয়ে অনেকেই প্রার্থিতা ফেরত পান। তবে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর প্রার্থিতার বিষয়টি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আগামী ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এসব প্রার্থীদের বৈধতা পাওয়ার বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে বহু প্রার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষেত্রে ইসির অসচেতনতা ও দূরদর্শী চিন্তার অভাবে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীকে উচ্চ আদালতে আসতে হয়েছে। এবার তিনটি কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। সেগুলো হলো: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ঋণ খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব। এসব বিষয় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইসি আরও সচেতন ও সতর্ক হলে প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হতো না। এই শেষ সময়ে এসেও যারা উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফেরত পাচ্ছেন ইসি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সহায়তা করেন।
এআইএম/এমএইচএম