বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

আইনজীবীদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কতদূর?

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

আইনজীবীদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কতদূর?
ফাইল ছবি

# পৃথক ৫০ ঘটনায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন আইনজীবীরা

# বছরজুড়ে গ্রেফতার হয়েছেন ১৫ জন


বিজ্ঞাপন


# খুন হয়েছেন তিনজন, হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন চারজন

# সামাজিক অবক্ষয় ও রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির প্রভাব দেখছেন আইনজীবীরা

গত ২৯ মে ঢাকা জজ কোর্টে বিচারকের সামনে নারী আইনজীবী ইশরাত হাসানকে মারতে তেড়ে আসেন আইনজীবী মোর্শেদুল ইসলাম। সেদিন অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন রুপা আক্তার। এ সময় নাসির-তামিমার আইনজীবী মোর্শেদুল মামলার বাদী রাকিবের আইনজীবী ইশরাত হাসানকে মারতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ করেন ইশরাত। এ বিষয়ে আদালতে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনেও লিখিত অভিযোগ জমা দেবেন বলে জানান।

শুধু ইশরাতই নয়, আদালত চত্বর কিংবা বাইরে আইনজীবীদের এমন হেনস্তার হওয়ার খবর অনেক সময় গণমাধ্যমে আসে। ২০২২ সালে একবছরে দেশে নানাভাবে ৫০টি পৃথক ঘটনায় ৮৮ আইনজীবী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। হেনস্তার শিকার হওয়া ৮৮ আইনজীবীর মধ্যে ৮২ জন পুরুষ ও আর ছয়জন নারী। ওই বছর তিনজন আইনজীবী খুনেরও ঘটনা ঘটেছে। এমন অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষায় আইনজীবীরা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে এলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।


বিজ্ঞাপন


জাস্টিস মেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) নামে ফ্রান্সভিত্তিক একটি সংগঠন চলতি বছরের ১০ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশে আইনজীবী হেনস্তার চিত্র তুলে ধরা হয়ছে। আইনজ্ঞরা বলছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া, সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে এই পেশার মানুষদের নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।

Law
দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার টাঙ্গাইলের আইনজীবী রুহুল আমিন। সংগৃহীত ছবি

জানতে চাইলে হিউম্যান রাইডস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘একসময় সমাজে আইনজীবীদের অবস্থান ছিল। এখন আর সেই অবস্থান নেই। এর জন্য দায়ী আইনজীবীরাই। তাদের কোনো অভিভাবক নাই। বার কাউন্সিল দলীয় হয়ে গেছে।’

সেদিনের কথা তুলে ধরে হেনস্থার শিকার ইশরাত হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, মামলার সাক্ষ্য চলাকালে কোনো কারণ ছাড়াই উনি (মোর্শেদুল ইসলাম) আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বারবার শারীরিকভাবে আঘাত করতে আমার দিকে তেড়ে আসেন। তখন আদালতে উপস্থিত অন্য আইনজীবীরা তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। তার এমন আচরণে নিজের ও আমার সহযোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। কোর্টের কক্ষের ভেতরেই যদি তিনি আঘাত করার জন্য তেড়ে আসেন, তাহলে বাইরে কী করতে পারেন, আমার জানা নেই।’

ইশরাত হাসান আরও বলেন, একজনের মামলা চালাতে এসে আইনজীবী হয়ে মারধর ও হুমকির সম্মুখীন হতে হলে মামলা লড়া খুব কঠিন।

এমন ঘটনা আরও ঘটলেও শুরুতে তা নিয়ে বেশ সরগরম থাকে আইনাঙ্গন। পরে আর ঘটনাগুলো প্রতিকারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বেশ কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনা করে এমন চিত্র দেখা যায়।

জরিপে যেসব তথ্য উঠে এসেছে

বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ে ওই সংস্থার করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেনস্তার শিকার ৮৮ আইনজীবীকে হামলা, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, গ্রেফতার, হুমকি, ভয় দেখানো, হত্যাচেষ্টা এবং বিচারিক হয়রানির শিকার হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জেএমবিএফের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে মোট ৫০টি পৃথক ঘটনায় ৮৮ আইনজীবী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮২ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী।

Lawyer
হত্যার শিকার নেত্রকোনোর শিক্ষানবিশ আইনজীবী মফিজুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের হাতে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকার। ফাইল ছবি

হেনস্তার শিকার আইনজীবীদের মধ্যে নয়জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আর ছয়জন সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া অন্য আইনজীবীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রকাশ্যে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে তিনজন আইনজীবী খুন, ১৬ জনের ওপর শারীরিক হামলা এবং চারজন আইনজীবী হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১৫ আইনজীবীকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়। একজন আইনজীবীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে চাঁদার দাবিতে নগ্ন ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন অভিযোগে চার আইনজীবীকে তাদের সমিতি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অন্য একজন আইনজীবী বিচারিক হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া একজন আইনজীবী তার সিনিয়র আইনজীবী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার শিকার ছাড়াও কোনো কোনো আইনজীবীদের বানোয়াট ফৌজদারি মামলায় জাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ২০২২ সালে এ ধরনের ২৩টি মামলায় মোট ৬১ আইনজীবীকে জড়ানো হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ আইনজীবীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জড়ানো হয়।

প্রতিবেদনে ঢাকা বিভাগে ২১টি, রাজশাহী বিভাগে ১২টি, চট্টগ্রামে ৯টি, সিলেটে ৩টি, খুলনায় ২টি এবং ময়মনসিংহ, রংপুর ও বরিশাল বিভাগে একটি করে ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতবছরের ৭ জুলাই নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুন হন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হাফিজুল হক চৌধুরী। চট্টগ্রাম ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে পাস করে ময়মনসিংহ জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে হাফিজুল ও ফারুক নামে একজনের মাঝে বিরোধের জেরে ৫টি মামলা চলমান ছিল। এর জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ওপর হামলা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক হাফিজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

২০২২ সাল ছাড়াও ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জজ কোর্টের আইনজীবী এবং জেলা আইনজীবী বার সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক মো. রুহুল আমীনের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

রুহুল আমীন সাংবাদিকদের জানান, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়ার মাজারে তিন দিনব্যাপী ওরস শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে মারা গেছি ভেবে হামলাকারীরা ফেলে রেখে গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই।

এর বেশ আগে নারায়ণগঞ্জের সাত মার্ডারের ঘটনাতেও একজন আইনজীবী মারা যান। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও তার তিন সহযোগী, গাড়িচালককে তুলে নিয়ে যায় র‌্যাব। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন আইনজীবী চন্দন সরকার। অপহরণের বিষয়টি দেখে ফেলায় তাকে ও তার গাড়িচালককেও র‌্যাব তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের সবাইকে হত্যা করে পেট কেটে এবং ইটের বস্তা বেঁধে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেয়। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল ছয়জন ও পরদিন একজনের লাশ ভেসে ওঠে।

আলোচিত ওই হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব-১১ চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, চাকরিচ্যুত মেজর আরিফ হোসেন, চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালত ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখেন।

কী বলছেন আইনজীবীরা?

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘এক কথায় বলব আমাদের কোনো অভিভাবক নেই। যার কারণে আইনজীবী সমিতির পদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মারামারি হচ্ছে। ভাঙচুর হচ্ছে। আমি তো দেখি না আইনজীবীদের কোনো অভিভাবক আছে। অভিভাবক থাকলে কোনো আইনজীবী হেনস্থার শিকার হতো না।’

২০২১ সালে আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়নে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।

এতে বলা হয়, সারা বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ৬৭ জনের বেশি বিজ্ঞ আইনজীবী হত্যা, নির্যাতন, হামলা-অপহরণের শিকার হয়েছেন।

আইনজীবীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর মামলা পরিচালনা ও শুনানি করতে  হয়। যে কারণে কোর্ট রুম থেকে বের হয়েই আদালতের অফিসার তথা আইনজীবীরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন সময়ে অমানুষিক ও বর্বর নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

ফরহাদ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি নট প্রেস রিজেক্ট করেন। বার কাউন্সিলে এ বিষয়ে নতুন করে আবেদন দিতে বলেন। আমি নতুন আবেদন রেডি করছি।

হেনস্তার শিকার আইনজীবী ইশরাত হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আইনজীবীদের অভিভাবক বার কাউন্সিল। আইনজীবীদের বিষয়ে তাদের কাছে অনেক আবেদন জমা আছে। এগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। বার কাউন্সিল সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করছে। বার কাউন্সিলের একটি বডি আছে। তারা আইনজীবীদের বিষয়ে সব আবেদন নিষ্পত্তি করবেন। কিন্তু করছেন কম। মনে হচ্ছে অভিভাবক শুন্য তারা।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী জামিউল হক ফয়সাল ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘পেশাগত কাজ করতে গিয়ে আইনজীবীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য আইনজীবী সুরক্ষা আইন চেয়ে রিট করেছি। শুনানি শেষে আদালত আইনজীবী সুরক্ষা আইন কেন প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সে রুলটি এখনো বিচারাধীন আছে।’

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আইনজীবী আদালতে ক্লায়েন্টের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তাকে আইনগত প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ কারণে অনেক সময় প্রতিপক্ষের চক্ষুশুলে পরিণত হন। পেশাগত ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জন্য কোনো আইন নাই। এ বিষয়ে কোনো আইন নাই। তাই আইনজীবীদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রণয়ন জরুরি।’

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বাদল ঢাকা মেইলকে বলেন, কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেই। আমরা নিয়মিতভাবে এ বিষয়ে মিটিং করি। অথবা কোনো আইনজীবী ক্ষতির শিকার হলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে তাকে সহযোগিতা করি। সম্প্রতি এক আইনজীবী হেনস্তার শিকার হন পুলিশ কর্মকর্তার হাতে। আমরা তার পাশে দাঁড়িয়েছি তার জন্য লিখিত বিবৃতি দিয়েছি। এটা আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ।

আইনজীবীরা যাতে নির্ভয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মানবাধিকার আইনজীবী শাহানুর ইসলাম।

এদিকে আইনজীবীকে সুরক্ষায় আইন প্রণয়ের ২০২১ সালে একটি রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। এতে বলা হয়, আইনজীবীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর মামলা পরিচালনা ও শুনানি করতে হয়। যে কারণে কোর্ট রুম থেকে বের হয়েই আদালতের অফিসার তথা আইনজীবীরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন সময়ে অমানুষিক ও বর্বর নির্যাতনের শিকার হতে হয়। শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি নট প্রেস রিজেক্ট করেন। বার কাউন্সিলে এ বিষয়ে নতুন করে আবেদন দিতে বলেন। আমি নতুন আবেদন রেডি করছি।

এআইএম/বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর