চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন। জমা দেন জীবনবৃত্তান্ত। দিনের পর দিন যায় যায়। সাক্ষাৎকারের জন্য ডাক আসে না। তখন মনে হতাশা জাগে। কিন্তু কেন নিয়োগদাতারা আবেদনকারীদের সাক্ষাতের জন্য ডাকে না? এর পেছনে রয়েছে ছোট একটি ভুল।
নিয়োগদাতারা সেরা কর্মী খুঁজে নেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। হাজার হাজার আবেদনপত্র জমা হয়। সেখান থেকে চলে বাছাই। প্রাথমিক আবেদনপত্র থেকে জীবনবৃত্তান্ত পরখ করে অল্প কিছু আবেনদনকারীকেই সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়। বাকিদের আবেদনপত্র তথা জীবনবৃত্তান্ত ঠাঁই পায় আবর্জনার ঝুড়িতে। এক্ষেত্রে প্রথমে যেটা দেখা হয় সেটা হচ্ছে কভার লেটার আছে কি না?
বিজ্ঞাপন
সাধারণত বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী জীবন বৃত্তান্তের সঙ্গে কভার লেটার জমা দেন না। এটা একটা বড় ভুল। এই একটি ভুলের কারণেই বেশিরভাগ নিয়োগদাতারা প্রার্থীদের সাক্ষাতের জন্য ডাকে না।
আপনি যদি প্রাথমেই বাজিমাত করতে চান তবে জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে কভার লেটার জমা দিন। ভালো একটি কভার লেটার চাকরির যুদ্ধে আপনকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।
কভার লেটার তৈরি করবেন যেভাবে
কভার লেটার মূলত চাকরির আবেদনপত্র। যদিও বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী মনে করেন জীবনবৃত্তান্তই আবেদন। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল।
বিজ্ঞাপন
জীবন বৃত্তান্তের সঙ্গে অবশ্যই কভার লেটার জমা দিতে হবে। কভার লেটার প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক বরাবর দিতে হবে। এতে উল্লেখ থাকবে আপনি কোন পোস্টের জন্য আবেদন করেছেন। আপনার আগে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে তাও উল্লেখ থাকতে হবে। পাশাপাশি লিখতে হবে আপনার যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের কথাও। সর্বশেষ আপনার প্রত্যাশিত বেতনও উল্লেখ করতে পারেন।
এভাবে যদি আপনি যদি চাকরির আবেদন করেন তবে দেখবেন বেশিরভাগ নিয়োগদাতারা চাকরি দেয়ার জন্য আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে।
এজেড