চাকরি পেতে আবেদন করলেন। আপনার আবেদন যাচাই-বাছাই করল নিয়োগদাতা। এবার আপনাকে ডাকবে লিখিত পরীক্ষা নেয়ার জন্য। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে আপনি চাকরির বাজারে অনেকেটাই এগিয়ে থাকলেন। কেননা, লিখিত পরীক্ষার পরের ধাপ সাক্ষাৎকার। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই চুড়ান্ত সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়। সাক্ষাৎকারে নিয়োগদাতাদের মন জয় করতে পারলে মেলে চাকরি। সাক্ষাৎকার লিখিত পরীক্ষার চেয়ে সহজ। তাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করাটা চাকরি পাওয়ার পূর্বশর্ত। জেনে নিন লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়।
চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য লেখায় অবশ্যই নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগেভাগেই জেনে নিতে হবে। জানতে হবে আপনার পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কেও। পদ অনুযায়ী পরীক্ষায় এসব প্রশ্ন থাকবে।
চাকরির পরীক্ষা আর একাডেমিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ আলাদা। কেননা, একাডেমিক নির্দিষ্ট সিলেবাস থাকে। কিন্তু চাকরির পরীক্ষা সিলেবাস নেই। সব বিষয়ের ওপরেই প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই আপনাকে সব বিষয়ে জানাশোনা থাকতে হবে।
নিয়োগ পেতে আপনাকে লিখিত পরীক্ষায় কৌশলী হয়ে লিখতে হবে। লেখার মধ্যে আপনার সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে হবে। যাতে পরীক্ষক সহজেই আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারেন। আপনাকে মেধাবী ও বিচক্ষণ ভাবেন।
লেখায় যেসব বিষয়ে মনোযোগী হবেন
১. পয়েন্ট আকারে লিখবেন।
২. লেখায় যত তথ্য দিতে পারবেন ততো ভালো।
৩. আপনার দেয়া তথ্যের রেফারেন্স দিতে ভুলবেন না।
৪. লেখায় কাটাকাটি করবেন না।
৫. বানান যাতে ভুল না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৬. সময়ের সাথে সামঞ্জ্যস্য রেখে আপনার উত্তরের আকার কেমন হবে তা লক্ষ্য রাখুন।
লিখিত পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি
যেকোনো পরীক্ষা পূর্ব প্রস্তুতি জরুরি। যার প্রস্তুতি যত ভালো থাকবে, জানা-শোনা যত বেশি হবে সে তত ভালো করতে পারবে। জেনে নিন লিখিত পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি সম্পর্কে।
১. পড়াগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজিয়ে পড়ুন।
২. পড়ে না দেখে লেখার অভ্যাস করুন।
৩. ভুল থেকে শিখুন।
৪. গ্রুপ স্টাডি করুন।
৫. ক্লাস লেকচার ফলো করুন।
৬. নোট তৈরি করুন।
৭. পড়া মনে রাখতে মেমোরি টেকনিক ব্যবহার করুন।
৮. খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।
উপরের কৌশল ও পদ্ধতি অবলম্বন করে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে আশা করা যাচ্ছে আপনি ভালো ফল পাবেন।
এজেড