বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাবার কাজের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন: জয়

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বাবার কাজের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন: জয়

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার সময়ে ওই সংসদীয় এলাকার বেশ উন্নয়ন সাধিত হয়। নাসিমের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তার স্থলাভিষিক্ত হন নাসিমপুত্র তানভির শাকিল জয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জয় বলেছিলেন, ‘বাবার কাজের ও সুনামের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারলে নিজের জীবন সার্থক হবে।’ নির্বাচনের দুই বছর পর এসে নাসিমপুত্র বলছেন, ‘আব্বার ৩০ শতাংশ পৌঁছানো কঠিন ব্যাপার।’

সম্প্রতি ঢাকা মেইলের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


তানভির শাকিল জয় বলেন, সাংগঠনিকভাবে আমাদের অগ্রগতি যথেষ্ট আছে। তৃণমূল ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, থানা পর্যন্ত আমরা সম্মেলন করেছি। সকল সংগঠনকে সম্পৃক্ত করছি। সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে আত্মতৃপ্তি আছে।

>> আরও পড়ুন: ‘আমি আর আব্বা নিজেদের কথা না ভেবে সেদিন নেত্রীকে খুঁজেছি’

তিনি বলেন, অবকাঠামোগত দিক থেকে আমার একটু আত্মতৃপ্তির ঘাটতি আছে। বাবা যে প্রকল্পগুলো করেছেন, যেগুলো চলমান ছিল, সেই কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। চার লেন হাইওয়ের কাজ সড়ক ও জনপথ খুব ধীরগতিতে করছে। ওখানে নদীবন্দর ঘোষণা করা হয়েছিল। সে বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় অর্থ সঙ্কটের কারণে করতে পারছে না। এছাড়া বাফার গুদাম যাওয়ার কথা ছিল শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্থ সঙ্কটের কারণে এখনও সেটির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, তবে আমি নিজের উদ্যোগে কাবিখার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলে অনেক রাস্তাঘাট করেছি। যেটি বাংলাদেশের মোটামুটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় নিউজ এসেছে এবং নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য যে কাজগুলো হচ্ছে সেগুলোরও ভালো অগ্রগতি রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: ‘সেদিন চোখের সামনে কিয়ামত দেখেছি’

নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, বাবার কাজ ও সুনামের ৩০ শতাংশ যেতে পারলে আপনার জীবন সার্থক। গত দুই বছরে সেই ৩০ শতাংশের কতটা অর্জন করতে পেরেছেন? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নাসিমপুত্র বলেন, আব্বার ৩০ শতাংশ পৌঁছানো কঠিন ব্যাপার। আমার মনে হয় আমি সেটা এখনো পৌছাতে পারিনি৷ সাংগঠনিক এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আমার সফলতা আছে বলে আমি মনে করি। তবে সরকারি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আমার চেষ্টা সত্ত্বেও এটা সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ফলাফল সন্তোষজনক নয়।

তিনি বলেন, যদি এই সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি না থাকত তাহলে হয়তোবা আরও ভালো হতো।

কারই/জেএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর