শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ডাকসুতে জিতে ঢাবিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় নিতে চাই: সাকিব

সাখাওয়াত হোসাইন
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

sakib
মোহাম্মদ সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব। বিগত দিনে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সরব ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলেন সাহসী কণ্ঠস্বর। এবার তিনি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী প্যানেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী। নির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াসহ নানা স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেইলকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাখাওয়াত হোসাইন

ঢাকা মেইল: ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শেষ পর্যায়ে। পরিবেশ কেমন দেখছেন?


বিজ্ঞাপন


মোহাম্মদ সাকিব: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো। দুই একদিন আগে যখন নির্বাচন নিয়ে রিট হয়েছিল এবং কয়েকটি সিদ্ধান্ত আসছিল স্থগিতের, তখন শঙ্কায় ছিলাম। এখন আশা করা যায়, ঠিক মতো নির্বাচন হবে। সব স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। একটা অংশগ্রহণ নির্বাচনের যে প্রত্যাশা ছিল, আমার মনে হয় শিক্ষার্থী এবং প্রার্থী হিসেবে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব নির্বাচনের একটা লিগ্যাল ফ্রেম দরকার ছিল যে, শিক্ষার্থীদের ভোটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের মাধ্যমে সে সুযোগ পেতে যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে খুবই আনন্দিত।

ঢাকা মেইল: নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কী কী কাজ করার পরিকল্পনা আছে?

মোহাম্মদ সাকিব: দেখুন, আমি পড়ছি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে আর আমি দাঁড়িয়েছি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে। আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, আর আমি দাঁড়িয়েছি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী প্যানেল থেকে। সেই জায়গা থেকে আমাদের কিছু চিন্তাভাবনা-পরিকল্পনা আছে।

আমি নির্বাচিত হলে স্কলারশিপ এক্সিলারেটর হিসেবে কাজ করার প্রশাসনিক জটিলতা দূর করব। স্বচ্ছতা ও ইনফরমেশন প্রদানে যে বাধা দেখেছি, সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করব। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় সেল থাকবে, সেখানে কয়েকজন ডেডিকেটেড প্রফেসর এবং কর্মকর্তা থাকবেন। বিভিন্ন এলিজিবল ইন্টার্নশিপগুলো রয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশনগুলো রয়েছে, সভা-সেমিনারগুলো রয়েছে, সেগুলোতে সুযোগদান এবং বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সাথে চুক্তির মাধ্যমে সেই সুযোগের তথ্যটি আমরা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে চাই। সেজন্য আমরা একটা ওয়ান স্টপ অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি বা চালু করব। যেটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিত্যদিনের সব সুযোগ-সুবিধা পাবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন 

‘দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করা প্রার্থীকেই শিক্ষার্থীরা বেছে নেবে’

Sakib2
আন্দোলন-সংগ্রামে সরব ছিলেন সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেইল: আমরা আপনাকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয় থাকতে দেখেছি। এখনো শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখছেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতেও রাজপথে ছিলেন। নির্বাচিত হলে এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন কি না?

মোহাম্মদ সাকিব: ডাকসুর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কাজ- সেটা হচ্ছে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে কিংবা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সোচ্চার থাকা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, ইন্টারন্যাশনাল ফরেন স্টুডেন্ট কাউন্সিলগুলো রয়েছে, যেকোনো গ্লোবাল ইস্যুতে কাজ করে, যাতে আমরা তাদের সঙ্গে একটা সলিডারিটি দেখাতে পারি। ইন্টারন্যাশনাল শান্তি এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে গ্লোবাল অন্যান্য যেসব অংশীজন রয়েছেন তাদের সঙ্গে নিয়মিত সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাতে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারে। আর প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা তাদের কণ্ঠ তুলতে পারে, সেজন্য কাজ করব। আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখতে পারবে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং গ্লোবাল যেকোনো ইস্যুতে মতামত দিতে পারবে, সেজন্য ভূমিকা রাখব। এখনো আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি এবং ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব; তাদের হয়ে কাজ করব। আর নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিসর বাড়ানোর জন্য যা যা করণীয়, তা করা হবে।

বিগত সময়ে দেখেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল একটা হাবে ছিল। বিদেশি অনেক কালচার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা-অপচেষ্টা ছিল। কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরা, সেটি করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লোবাল সামিট করতে চাই। বিগত সময়ে শিক্ষার্থীরা আমাদের কার্যক্রম দেখেছে এবং আমাকে নির্বাচিত করলে অন্য শিক্ষার্থীদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা থাকবে। সেইসঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির কারণে আর কাউকে যাতে প্রাণ দিতে না হয়, সেজন্য সোচ্চার থাকব। বোন ফেলানী এবং আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি কারণে, এসব বন্ধ করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য চেষ্টা থাকবে।

আরও পড়ুন

বস্তি থেকে ডাকসুর প্রার্থী, আলোচনায় সীমা আক্তার

ঢাকা মেইল: এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট চুরি বা কোনো কারসাজির আশঙ্কা করছেন কি?

মোহাম্মদ সাকিব: আগত এক বছর ধরে দেখেছি, ভোট এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে অনেকের অনাগ্রহ ছিল। যদিও এক বছর পরে আমরা সবাই একটা সমষ্টির জায়গায় এসেছি। ডাকসু আয়োজন হতে যাচ্ছে, বাস্তবায়িত রূপ দেখতে যাচ্ছি। তবে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলো সাজানো হয়েছে। নারীদের যাতে নিরুৎসাহিত করা যায়, সেই সকল ধরনের আয়োজন আমরা দেখেছি। ভোটকেন্দ্রগুলো নারীদের হল থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আমরা এটাও দেখেছি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করার মাধ্যমে ডাকসুকে একটা এলিয়েনেটেড জিনিস হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা তৈরির জন্য অনেক গ্রুপ চেষ্টা করছে। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি আমাদের অবশ্যই আশঙ্কা রয়েছে।

ডাকসুর তফসিল দেওয়ার পর দিন থেকে বিভিন্নভাবে অনেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। কালারফুল পোস্টারের মাধ্যমে, টাকা উপঢৌকন দেওয়ার মাধ্যমসহ নানাভাবে আচরণবিধিগুলো লঙ্ঘন হচ্ছে। প্রশাসন নির্লিপ্তভাবে নির্বিকারভাবে নির্লজ্জভাবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, প্রশাসনের যথেষ্ট সদিচ্ছার অভাব দেখছি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার মতো মানসিকতা সেটা আমরা দেখছি না।

ডাকসুর নারী প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে এবং প্রার্থীদের নানাভাবে ট্যাগিং করা হচ্ছে। যেভাবে সাইবার বুলিংগুলো করা হচ্ছে, আমরা আশঙ্কা করি ভোটের দিন কেউ এই পদক্ষেপগুলো নিতে যাবে কি না। তবে আমরা আশাবাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অনেক সচেতন এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে ভালোই জানেন। পলিটিক্যাল পার্টি ছাড়াও অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করছেন। কেউ যদি তার ভোটের ব্যালট বাক্স কেড়ে নিয়ে যেতে চায়, গত বছরের জুলাইয়ে যেভাবে প্রতিরোধ বেষ্টনী হয়ে নিজেরা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন এবং শেখ হাসিনার ফোর্সের বিরুদ্ধে, এবারও কেউ অনিয়মের চেষ্টা করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রুখে দেবে।

Sakib3
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেইল: ভোটারদের উদ্দেশে কিছু বলার আছে?

মোহাম্মদ সাকিব: ভোটারদের উদ্দেশে প্রথম দিন থেকে আমরা বলে আসছি- ভোট শুধু একটা সংখ্যা নয়, এটা অধিকার ও গণতান্ত্রিক চর্চা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পুরো জাতীয় রাজনীতিতে ইকুয়েশন সৃষ্টি হবে। আমরা দেখেছি, গত ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা শিক্ষাজীবন থেকে যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার প্র্যাকটিসটা করতে পারি, তাহলে এটা হবে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়া। একইসঙ্গে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া। আমার জীবনে ভোট দেওয়ার সুযোগ এসেছে, আমাদের যাদের বয়স ২৪ বা ২৫ আমরা কখনো ভোট দিতে পারিনি। সেই জায়গা থেকে এটা আমাদের প্রথম ভোট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে নিজের অধিকার চর্চা করবে। সবাই ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং ভোট দেবেন।

ঢাকা মেইল: এখন পর্যন্ত প্রশাসনের ভূমিকা কেমন দেখছেন?

মোহাম্মদ সাকিব: ভোটের বিভিন্ন মেকানিজম আমরা দেখছি, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে পেছনে কেউ অস্পষ্টভাবে এগুলোকে কন্ট্রোল করছে। যারা শিক্ষার্থী প্রার্থী আছে তারা না, আমি মনে করি কোনো একটা পলিটিক্যাল পার্টি কিংবা পলিটিক্যাল গোষ্ঠী তাদের কেউ একজন নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই জায়গা থেকে প্রশাসন যে নির্লজ্জ নির্ভিকার নির্লিপ্ত ভূমিকা রেখেছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার পরে বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সেটা নিয়ে আমরা একটু সন্দিহান। সে জায়গা থেকে আমরা প্রশাসনকে এখনো আহ্বান জানাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো একটা পলিটিক্যাল পার্টির এজেন্ডা হয়ে অংশ নেবে না, একক ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর পারপাস সার্ভ করবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা পূরণ করবে। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন

ডাকসু নির্বাচনে রাফিয়ার অভিনব প্রচারণা

ঢাকা মেইল: অনেকেরই অভিযোগ, প্রার্থীদের সাইবার বুলিং এবং তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার হচ্ছে। এ বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখেন?

মোহাম্মদ সাকিব: আমরা তো প্রতিনিয়ত প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে ফেক আইডি, বট আইডির মাধ্যমে অপ্রচার শিক্ষার হচ্ছি। আমাদের নারীদের সাইবার বুলিং করা হচ্ছে, তাদের সাহস-শক্তি কমিয়ে দেওয়া এবং কোণঠাসা করার জন্য। অনলাইনে নারীদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ব্যক্তিগত জীবন টেনে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের একাডেমিক জীবনে হেনস্তার শিকার করা হচ্ছে। আশা করি, প্রশাসন এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আর যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা মেইল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ সাকিব: আপনাকেও ধন্যবাদ।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর