যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভারতীয় প্রৌঢ়ের মাথা কেটে খুনের ঘটনায় এবার মুখ খুলল আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউকিটি অফিস। প্রৌঢ়কে খুনের ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি কিউবার নাগরিক।
তার কাছে অভিবাসনের কোনও বৈধ নথি ছিল না বলেই দাবি মার্কিন প্রশাসনের। ওই ঘটনার জন্য এবার মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জমানাকে নিশানা করল ট্রাম্প প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অফিসের দাবি, বাইডেন জমানার প্রশাসন ‘সঠিক’ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের ডালাসে সম্প্রতি চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া নামে এক ভারতীয় প্রৌঢ়কে খুন করা হয়। প্রৌঢ়ের স্ত্রী এবং সন্তানের সামনেই তার মাথা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তার পরে ছিন্ন মুণ্ডুতে লাথি মারতে মারতে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান অভিযুক্ত। পরে ওই ঘটনায় ৩৭ বছর বয়সি ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
দন্তে উঠে আসে, ধৃত যুবক কিউবার নাগরিক। কিউবা থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন। কিন্তু তার কাছে অভিবাসনের বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবার অবৈধ অভিবাসনে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বাইডেন জমানাকে দোষারোপ করল ট্রাম্পের প্রশাসন।
অভিযুক্তকে ‘দৈত্য’ বলে সম্বোধন করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর সমাজমাধ্যমে লিখেছে, এই জঘন্য দৈত্যটি এক ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তার মাথা নেয়। তার পরে নিহতের মাথা মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে। এর পরেই তারা আরও লিখেছে, ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে কিউবা ফিরিয়ে নেবে না।
এই ভয়াবহ, বর্বরোরিত হত্যাকাণ্ডকে সম্পূর্ণ ভাবে ঠেকানো যেত যদি বাইডেন প্রশাসন এই অবৈধবাসী বিদেশি অপরাধীকে আমাদের দেশে খোলা ছেড়ে না দিত।
বস্তুত, ট্রাম্প দ্বিতীয় র ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকায় থাকা অবৈধবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। অবৈধবাসী ভারতীয়দেরও এ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
টেক্সাসের ঘটনা নিয়ে আগেই অবৈধবাসীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ।
তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমেরিকায় প্রবেশ করতেই দেওয়া হবে না। এবার ওই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিল আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরও।
-এমএমএস

