শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কাতারে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল সৌদি আরব-ইরান-তুরস্ক-জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

কাতারে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল সোদি আরব-ইরান-তুরস্ক-জাতিসংঘ

কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে সোদি আরব, ইরান ও জাতিসংঘ।

সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে কাতারের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।


বিজ্ঞাপন


বিবৃতি আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এর জন্য ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।’ 

অন্যদিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, দখলদারদের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কাতার ও ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারীদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, এই হামলা অবশ্যই এই অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুতর সতর্কবার্তা।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কাতারে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল প্রমাণ করেছে তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য কোনও চুক্তিতে আগ্রহী নয়।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালীন হামাসের আলোচক প্রতিনিধিদলকে লক্ষ্যবস্তু করা ইসরায়েলের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার ইঙ্গিত।’

কাতারে ইসরায়েলি হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি পরিষ্কার লঙ্ঘন। কাতারকে তিনি এমন একটি দেশ যারা যুদ্ধবিরতি ও সকল জিম্মিদের মুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সব পক্ষের উচিত একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অর্জনের কাজ করা, সেটি ধ্বংস করা নয়। 

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে এক বৈঠকে আলোচনার সময় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাল। 

এদিকে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। 

কাতারের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতি বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের সমন্বয়ে হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামাসের এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ইসরায়েলের ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।’

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাসের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতাদের বিরুদ্ধে আজকের অভিযান ছিল সম্পূর্ণ স্বাধীন ইসরায়েলি অভিযান’।


এমএইচআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর