ভারতের লোকসভার বিরোধী দল নেতা ও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধী নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কার অভিযোগ করেছেন। বিজেপির দুই সংসদ সদস্য তাকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার দাদীর মতো পরিণতি’ হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
বুধবার (১৩ আগস্ট) পুনের একটি আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয়গুলো উত্থাপন এবং ২০২২ সালের ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালে হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর সম্পর্কে তার মন্তব্যের কারণে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সাভারকারকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় গত ২৪ জুলাই মহারাষ্ট্রের নাসিকের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে জামিন দিয়েছেন।
এই মামলার বাদী মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের সরাসরি বংশধর উল্লেখ করে রাহুল অভিযোগ করেছেন, এটা স্পষ্ট, যৌক্তিক এবং সুনির্দিষ্ট আশঙ্কা যে আমার ক্ষতি করা হতে পারে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে অথবা অন্য কোনওভাবে টার্গেট করা হতে পারে। অভিযোগকারীর পরিবারের হিংসার ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া উচিত নয়।
রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, 'ভোট চুরির' বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য রাজনৈতিক বিরোধীদের তার ওপর ক্ষুব্ধ। ইতোমধ্যেই তিনি বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে দুটি প্রকাশ্য হুমকি পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবীনিত সিং বিট্টু তাকে 'দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী' বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে বিজেপি নেতা তরবিন্দর সিং মারওয়াহও তাকে হুমকি দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে তিনি (রাহুল) ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তার দাদীর মতো পরিণতি ভোগ করবেন।
রাহুল গান্ধীর আইনজীবী মিলিন্দ পাওয়ার বলেছেন, রাহুল গান্ধী আদালতকে তার নিরাপত্তার জন্য এই হুমকিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মামলার বাদী ও সাভারকরের নাতি সাত্যকি সাভারকর বলেছেন, এই আবেদনটি অনেক আগেই দাখিল করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি (রাহুল) ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি বিলম্বিত করছেন। রাহুল গান্ধীর এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আদালত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে মামলার শুনানির জন্য রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি অপরিহার্য নয়, তবুও তিনি আদালতের কাজে দেরি করছেন। তাঁর আবেদন কোনওভাবেই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং এর কোনও যুক্তি নেই।
সূত্র: দ্য হিন্দু
এমএইচআর

