ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ভোটে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটকের দুই ঘণ্টা পর রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ সব বিরোধী সাংসদকে ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র বরাতে এ তথ্য জানিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ ৩০ জনেরও বেশি সাংসদকে আটক করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আটক করার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পর ছাড়া পান তারা। থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভারতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
বিজ্ঞাপন
VIDEO | Delhi: Opposition MPs, including Lok Sabha Leader of Opposition (LoP) Rahul Gandhi and Congress MP Priyanka Gandhi Vadra, returned to Parliament after marching towards the Election Commission office to protest against alleged 'vote theft'.
— Press Trust of India (@PTI_News) August 11, 2025
Earlier in the day, police… pic.twitter.com/VyoK3qYMKl
এরআগে, সোমবার সকালে দিল্লিতে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোট চুরির অভিযোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। পরে সংসদ সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’র স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলটির অন্যতম নেতা জয়রাম রমেশসহ বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন এমপিকে আটক করে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন মাত্র ৩০ জন সংসদ সদস্যকে তাদের প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ‘বিপুল সংখ্যায়’ ছিল। তাই তাদের আটক করা হয়েছিল।
নয়াদিল্লি পুলিশের ডিসিপি দেবেশ কুমার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩০ জন সংসদ সদস্যকে বৈঠকের অনুমতি দিয়েছিল। তবে সংসদ সদস্যদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
এমএইচআর

