রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘অপারেশন সিন্দুরে’ ৬টি পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করার দাবি ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘অপারেশন সিন্দুরে’ ৬টি পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করার দাবি ভারতের

পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ কমপক্ষে ছয়টি পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। গত জুন মাসের শুরুর দিকে পরিচালিত এই সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এটিই এখন পর্যন্ত বড় দাবি ভারতের। 

শনিবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।   


বিজ্ঞাপন


এপি সিং বলেন, ‘আমাদের কাছে কমপক্ষে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার নিশ্চিত খবর আছে। এরই সঙ্গে আমরা একটি বড় বিমান ধ্বংস করেছিলাম। সেটি হয় ইলিন্ট বিমান বা এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (এইডব্লিউঅ্যান্ডসি) বিমান হতে পারে। বিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে, যা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানে।’ 

রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ কে ‘গেম-চেঞ্জার’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অসাধারণ কাজ করেছে। সম্প্রতি আমরা যে এস-৪০০ সিস্টেম কিনেছি, তা গেম-চেঞ্জার হয়ে উঠেছে। এই সিস্টেমের রেঞ্জ পাকিস্তানি বিমানগুলো থেকে ছোড়া দূরপাল্লার গ্লাইড বোমার মতো অস্ত্রও ঠেকিয়ে দিয়েছে। সেগুলোর কোনওটিই ব্যবহার করতে পারেনি কারণ তারা এস-৪০০ কে ভেদ করতে সক্ষম হয়নি।’ 

এই ছয়টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংসের পাশাপাশি পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলায় আরও বেশ কিছু পাকিস্তানি বিমানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান।  


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, পাকিস্তানের জাকোবাবাদ এবং ভোলারিতেও সামরিক ঘাঁটির হ্যাঙ্গারে হামলা চালিয়েছিল আইএএফ (ভারতের বিমানবাহিনী)। জ্যাকোবাবাদে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গার ছিল। ওই হ্যাঙ্গারটির অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কিছু যুদ্ধবিমান, যেগুলো একটি হ্যাঙ্গারে রক্ষণাবেক্ষণাধীন ছিল সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভোলারিতে, আরেকটি এইডব্লিউঅ্যান্ডসি বিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এপি সিং আরও দাবি করেন, ‘ভারতীয় বাহিনী এত বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছিল যে পাকিস্তান বুঝতে পেরেছিল সংঘাত অব্যাহত থাকলে তাদের আরও বেশি ক্ষতি হবে, এর ফলে পাকিস্তানি পক্ষ যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়।’

এদিকে পাকিস্তানও বারবারই দাবি করেছে, সংঘাতে তারা ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু–৩০ ও অন্যটি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান। ভারত প্রথম দিকে এ বিষয়ে চুপ ছিলো । তবে সম্প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছিল নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদ এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও গত ৭ মে ভোরে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ পরিচালনা করে পাকিস্তান। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই দেশ। তবে ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করে আসছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, যুদ্ধ বন্ধে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল, যেখানে তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকা ছিল না, এমনকি ট্রাম্পেরও কোনো কৃতিত্ব নেই।

 

সূত্র: এনডিটিভি


এমএইচআর 

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর