সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের ১২ দিনের সংঘাত পর এ অঞ্চলের দুটি প্রধান মুসলিম দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক এটি।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সৌদি আরব সকল ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।
বিজ্ঞাপন
তিনি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া বাড়ানো প্রয়োজন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন— রিয়াদ আশা করছে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যকে স্থিতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করবে। পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে যেসব দেশের বিরোধ আছে— তা কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানে সহযোগিতা করবে রিয়াদ বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি তার পক্ষ থেকে সৌদি আরব এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভতা এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদারে তেহরানের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি উল্লেখ করেন, ইরান সৌদি আরবের সঙ্গে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে প্রস্তুত।
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার নিন্দা জানানোর জন্য সৌদি আরবের প্রশংসা করে আরাকচি বলেন, আগ্রাসনের এই পদক্ষেপ জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ ব্যবস্থার স্পষ্ট লঙ্ঘন। আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর গৃহীত ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় অবস্থান ইহুদিবাদী সরকারের সম্প্রসারণবাদ এবং যুদ্ধবাজ পদ্ধতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাদের ঐকমত্যের ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: তাসনিম
-এমএইচআর

