ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে এবার ইরাকের তিনটি সামরিক ঘাঁটি এবং বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ফলে দেশটিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এখনো কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরাকের ইমাম আলী, বালাদ ও তাজি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। পাশাপাশি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এই হামলাগুলো এমন এক সময়ে ঘটল, যখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান-ইসরায়েল বিরোধ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
ইরাকের সরকারি বার্তা সংস্থা আইএনএ জানায়, বাগদাদের উত্তরে অবস্থিত তাজি সামরিক ঘাঁটিতে একটি অজ্ঞাত ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্বতন্ত্র অনুসন্ধানধর্মী সংবাদমাধ্যম দ্য ড্রপ সাইট এই হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন
কাতারে ইরানের হামলায় কী ক্ষয়ক্ষতি হলো?
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা 'সম্পূর্ণ মিথ্যা', দাবি ইরানি সংবাদ সংস্থার
এছাড়া ইরানের তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ভিক্টরি বেজ কমপ্লেক্সে ড্রোন হামলা হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এই স্থাপনাটিতে একসময় মার্কিন সেনারা অবস্থান করত।
এদিকে একের পর এক হামলার ঘটনায় ইরাকে মার্কিন উপস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি না হলেও উত্তেজনা ছড়ায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। তবে এই উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদিও দুই দেশের পক্ষ থেকে এখনো বিষয়টি স্পষ্ট করে স্বীকার করা হয়নি।
জেবি

