ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে বিভিন্ন ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা দাবি করেন ইরান বিরশেভা শহরের সোরোকা হাসপাতালে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। তবে ইরান বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলের বিরশেভা শহরের সোরোকা হাসপাতালের পাশে একটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি কমান্ড ও গোয়েন্দা সদরদপ্তর (আইডিএফ-সিফোরআই) এবং গাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত একটি সেনা গোয়েন্দা ক্যাম্পের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘হাসপাতাল মূলত বিস্ফোরণের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। আসল লক্ষ্য ছিল সামরিক অবকাঠামো, আর সেটাই সরাসরি ও নির্ভুলভাবে আঘাত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন
এদিকে সোরোকা হাসাপাতালে হামলার জন্য ইরানকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আজ সকালে ইরানের সন্ত্রাসী স্বৈরতান্ত্রিকরা বেয়ার শেভা-এর সোরোকা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমরা এজন্য তেহরানকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে বাধ্য করব।’
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও ইসরায়েলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শারেন হাসকেল সোরোকা হাসপাতালে তথাকথিত ইরানের হামলাকে ‘ইচ্ছাকৃত’ ও ‘অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
শারেন হাসকেল এক এক্স পোস্ট করে বলেন, ‘যেটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে সেটি কোনো সামরিক ঘাঁটি নয়, বরং একটি হাসপাতাল এবং এটিই ইসরায়েলের পুরো নেগেভ অঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র।’
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি
এমএইচআর

