তেহরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার ঘটনায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকেই গোয়েন্দা সূত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ইসরায়েল যেকোনো সময় ইরানে অভিযান চালাতে পারে। সেই অনুমান মিলে গেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
বিজ্ঞাপন
তেল আবিবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘নেশন অব লায়ন্স’ নামের একটি পূর্বপরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে তারা ইরানের ভেতরে হামলা চালিয়েছে। এতে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে প্রধান লক্ষ্য বানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল ও দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক। এতে দুই ডজনের বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমরা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক ক্ষমতাকে দুর্বল করার লক্ষ্যেই এই অভিযান চালিয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ধারণা করছে, এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়ে থাকতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এবং প্রেস টিভি জানায়, হামলায় বেসামরিক মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তেহরানের একটি আবাসিক ভবনে শিশু ও নারীসহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
ইসরায়েল অবশ্য বলছে, তারা কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালিয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক হুমকি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন ইসরায়েল তার নিরাপত্তার বার্তা দিয়েছে, অন্যদিকে ইরান প্রতিশোধ নিতে পারে এমন আশঙ্কাও বাড়ছে। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
এইউ

