সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ঢাকা

সিকিমে আটকা পড়েছেন ১৫০০ পর্যটক, নিখোঁজ ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

সিকিমে আটকা পড়েছেন ১৫০০ পর্যটক, নিখোঁজ ৮

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম। উত্তর সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে এবং ভূমিধসের কারণে লাচেন ও লাচুং এলাকায় এখনো আটকা পড়ে আছেন দেড় হাজার পর্যটক। 

একাধিক রাস্তায় শনিবার থেকে ভূমিধসের কারণে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পর্যটকদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছে।  খবর দ্যা হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির।


বিজ্ঞাপন


পরে রাস্তা পুনরায় খুলে দেওয়া হলে পর্যটকদের সরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মাঙ্গান জেলার পুলিশ সুপার সোনম দেচু ভুটিয়া।

অন্যদিকে, পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পর্যটকবোঝাই গাড়ি ১০০০ ফুটের নিচে নদীকে গাড়ি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৮ জন পর্যটক। 

তাদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাতে মাঙ্গান জেলার মুনসিথাং এলাকায় লাচেন-লাচুং মহাসড়কের মুনসিথাংয়ের কাছে পর্যটকদের ওই গাড়ি প্রায় ১,০০০ ফুট নিচে নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন। 


বিজ্ঞাপন


গাড়িতে থাকা ১১ জন পর্যটকের মধ্যে ওড়িশ্যার বাসিন্দা স্বয়ম সুপ্রতিম নায়ক ও সাইরাজ জেনাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

নিখোঁজ পর্যটকরা হলেন- ওড়িশ্যার অজিত কুমার নায়ক, সুনীতা নায়ক, সাহিল জেনা এবং ইতশিরি জেনা। এছাড়াও, ত্রিপুরার দেবজ্যোতি জয় দেব, স্বপ্ননীল দেব এবং উত্তরপ্রদেশের কৌশলেন্দ্র প্রতাপ সিং ও অঙ্কিতা সিং নিখোঁজ রয়েছেন। 

গাড়ির চালক পাসাং দেনু শেরপা, যিনি উত্তর সিকিমের সিংহিকের বাসিন্দা, তিনিও নিখোঁজ। মাঙ্গানের জেলা প্রশাসক অনন্ত জৈন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নদীর তীরে চারটি পরিচয়পত্র এবং ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন। 

মূলত ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকরা আটকা পড়েন। 

২০২৩ সালের গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের পর ফিদাং এলাকায় নবনির্মিত বেইলি ব্রিজটি ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিমের ডজংগু এলাকার এই সেতুটি স্থানীয়দের জন্য একমাত্র সংযোগ পথ হিসেবে কাজ করত। পানির স্রোতের চাপের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এখন শুধু পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব।

এছাড়া সিকিমের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার পথে। গত শুক্রবার রাতে ডজংগুর শিপগিয়ের এলাকায় নতুন করে ধস নামে, ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর