রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়ে ছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার এক সামরিক কমান্ডার জানিয়েছেন, ২০ মে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি ড্রোন হামলার সময় পুতিনের হেলিকপ্টারকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়। সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্যা কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বিজ্ঞাপন
রুশ বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের কমান্ডার ইউরি দাশকিন বলেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ড্রোনটি পুতিনের হেলিকপ্টারের দিকে আসতে দেখে সেটিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করে দেয়।
আরও পড়ুন: মোদির রোডশোতে কর্নেল সোফিয়ার পরিবার
তিনি আরও জানান, ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত ইউক্রেন রাশিয়ার ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়, যেখানে মোট ১,১৭০টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
কমান্ডার দাশকিন বলেন, ২০ মে তারিখে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কুরস্ক সফরের সময় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে একটি নজিরবিহীন বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ৪৬টি ড্রোন ভূপাতিত করে।
বিজ্ঞাপন
তিনি যোগ করেন, প্রেসিডেন্টের বিমান যখন কুরস্ক অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, তখন হামলার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। আমরা একদিকে বিমান হামলা প্রতিহত করছিলাম, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিলাম।
দাশকিনের দাবি অনুযায়ী, পুতিনের হেলিকপ্টার কার্যত ইউক্রেনের বিশাল ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের পথে একটি ড্রোন আসছিল, যেটি সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ধ্বংস করে দেয়।
প্রেসিডেন্ট পুতিন কুরস্কে ওই সপ্তাহে সফরে ছিলেন, যা মার্চ মাসের পর তার প্রথম কুরস্ক সফর। এই ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং রাষ্ট্রপতির কনভয় নিরাপদে এগিয়ে যায়।
তবে ঘটনাটি ইউক্রেনের ড্রোন প্রযুক্তির সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, এটি একটি সরাসরি হত্যা প্রচেষ্টা ছিল কিনা, নাকি ইউক্রেনের একটি মানসিক চাপ তৈরির কৌশল।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে কুরস্ক অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় — যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রথম বড় পররাষ্ট্রীয় আক্রমণ। ইউক্রেনীয় বাহিনী অঞ্চলটির কিছু অংশ দখলেও রাখে।
তবে ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ রাশিয়া একটি বৃহৎ পাল্টা অভিযান চালায় এবং প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার বাহিনীও এই অভিযানে সহায়তা করে। এই অভিযানে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পিছু হটতে হয়।
-এমএমএস