দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফরে পৌঁছেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি আগামী চার দিন তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলে থাকবেন। তার এবারের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ট্রাম্প সৌদি আরবে অবতরণের পর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে (যিনি এমবিএস নামেও পরিচিত) দেখে মুষ্টি উঁচিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন এবং তার সঙ্গে করমর্দন করেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
এরপর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে নতুন বিনিয়োগ বিশেষ করে তাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি। নতুন নতুন শুল্কনীতি বৈশ্বিক বাণিজ্য, আস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য বাধাগ্রস্ত করছে।
ট্রাম্পের এ সফরে তার সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও করপোরেট নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধিদল। এদিন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেবেন ট্রাম্প। ওয়াল স্ট্রিট ও সিলিকন ভ্যালি থেকে সৌদি আরবে বিনিয়োগের বিষয়টিতেও দৃষ্টি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এরপর আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) তিনি কাতারে যাবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন তিনি।
উল্লখ্য, ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছিলেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক সময়ের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের প্রচলিত রীতির ব্যতিক্রম। দেশটির আধুনিককালের প্রেসিডেন্টরা প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সাধারণত যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা মেক্সিকোকে বেছে নেন।
গত জানুয়ারিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেছিলেন, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব। তবে ট্রাম্পের প্রত্যাশা, এ অঙ্ক বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২১ লাখ ৫২০ হাজার কোটি টাকা) করা হবে। সৌদি আরব আরও বেশি মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কিনবে বলেও আশা করেন ট্রাম্প।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি বাংলা।
এমএইচটি

