মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ৪৫ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতির শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। এতে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস যে ১১ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে আটকে রেখেছে, তাদের সবার একসঙ্গে মুক্তি দিতে হবে।
ইসরায়েলের এ শর্তে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন হামাস নেতারা। তাদের দাবি, এই শর্ত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি হামাস এ-ও জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বাকি শর্ত খতিয়ে দেখছেন তাদের শীর্ষনেতারা।
বিজ্ঞাপন
এই সব চাড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ৫১ হাজারের দিকে।
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ৪৫ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতির শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। এই শর্তের পরেই হামাস বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, তবে তাদের অস্ত্রসমর্পণের কথা ইসরায়েল ভুলে যেতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হামাসের অন্যতম শীর্ষনেতা সামি আবু জুহরি বলেন, অস্ত্রত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। এটা দিবাস্বপ্ন।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে গাজা দখলের কথা ইসরায়েল বার বার বলে এসেছে। নিজের দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কেও সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত করেছে সেই লক্ষ্যে। এই প্রেক্ষিতে অস্ত্রত্যাগের শর্ত হামাস কিছুতেই মানবে না।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে হামাস। ওই হামলায় ইসরাইলের ১১৩৯ জন নিহত হয়। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক ইসরাইলিকে বন্দি করে হামাস। সেই সময় ইসরাইলে হামলার সময় আলেকজান্ডার গাজা সীমান্তে একটি অভিজাত পদাতিক ইউনিটে এক সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ফেরত নেয় তারা। তবে গত ১৮ মার্চ হঠাৎ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল। ফের হামলার শুরু করে গাজায়। নিহত হন অনেক মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে হামাস জানিয়েছে, যদি গাজায় একটি ‘গুরুতর ও স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, তবে তারা ইসরাইলের বন্দিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। হামাসের সিনিয়র নেতা তাহের আল-নুনু বলেন, তারা যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সব জিম্মি ইসরাইলিকে মুক্তি দিতে রাজি।
-এমএমএস