আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। প্রথমে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ মাত্রা বলে জানালেও পরে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে এই ভূমিকম্পের আঘাত হানে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে কেঁপে উঠে ভারতের রাজধানী দিল্লি ও আশপাশের এলাকাও। ভোরের আলো তখনও ভাল করে ফোটেনি। হঠাৎ কেঁপে উঠল বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সর্বত্র! আতঙ্কে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন!
বুধবার ভোরে এমনই অভিজ্ঞতা হল দিল্লি এবং তার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে প্রতিবেশী দেশটির রাজধানী। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬।
ভারতীয় সময় বুধবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে।
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, বুধবার ভোরে আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২১ কিলোমিটার গভীরে।
তবে এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুর: আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচন
এই ভূমিকম্পের জেরে দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় কম্পন অনুভূতের খবর মিলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বহু বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা ভোরের দিকে কম্পন টের পেয়েছেন। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
এদিকে, বুধবার সকালে তাজিকিস্তানে ৫.৮ মাত্রার একটি পৃথক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটিতে এটি তৃতীয় ভূমিকম্প। আফগানিস্তান, কিরগিস্তানেও এই কম্পনের প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াজুড়ে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কয়েকদিন আগেই মিয়ানমারে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, যাতে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
গত মঙ্গলবার রাতে তিব্বত ও বিকালে নেপালেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, বুধবার ফিলিপ্ইনের মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ফিলিপিন্স ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মাইতুম শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পাহাড়ি ও জনবিরল এলাকায়। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষতির কোনো তথ্য মেলেনি বলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
-এমএমএস