ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর থেকে সোমবার (২৪ মার্চ) সদ্য অস্কারজয়ী পরিচালক পরিচালক হামদান বল্লালের গ্রাম সুসিয়ায় অভিযান চালায় এক দল ইসরায়েলি সেনা।
এ সময় বিনা কারণে হামদানকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। তার পর থেকে কোনো খোঁজ মিলছে না এই পরিচালকের।
বিজ্ঞাপন
অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর ফিলিস্তিনি সহ-পরিচালক হামদান বল্লালকে এ সময় মারধর করা হয় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাচ্ছে না।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমতীর ইসয়েলিদের দখলে রয়েছে। পশ্চিমতীরের মাসাফের ইয়াত্তা এলাকায় সুসিয়া গ্রামটি অবস্থিত। এখানেই হামদানের বাড়ি।
তার সহ-পরিচালক বাসেল আদ্রা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, সোমবার হামদান তাকে ফোন করে সাহায্য চাইছিলেন। ফোন পেয়ে তিনি হামদানের বাড়ির কাছে পৌঁছান। ওই সময় হামদানের বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল একদল ইসরায়েলি।
বাসেল জানান, ঘটনার সময় বাড়ির সামনে ইসরায়েলি পুলিশ এবং সেনা উপস্থিত ছিল। হামদানের বাড়ির কাছে পৌঁছে তিনি দেখেন, পরিচালক এবং অন্য একজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে হামদানকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা স্পষ্ট জানাতে পারেননি বাসেল।
পরে সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, ইসরায়েলি সেনারা আটক করেছে ওই পরিচালককে। এপির ওই প্রতিবেদনে এক সমাজকল্যাণ সংগঠনের সদস্যেরা দাবি করেছেন, হামদানের মাথা থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তার চিকিৎসা চলছিল।
ওই সময় সেনাকর্মীরা হামদানসহ দু’জন ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে যায়। তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই সংবাদমাধ্যমের কাছেও।
হামদানের অপর এক সহ-পরিচালক যুভল আব্রাহামও জানিয়েছেন, একটি অ্যাম্বুল্যান্সে পরিচালকের চিকিৎসা চলছিল। তার মাথা এবং পেট থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। ওই সময়ে সেনাকর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্সে প্রবেশ করেন এবং হামদানকে নিয়ে যান।
তারপর থেকে হামদানের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তিনিও। হামদানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন আব্রাহাম।
হামদানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি যোগাযোগ করেছিল ইসরায়েলি সেনার সঙ্গেও। সেনাবাহিনী স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি।
-এমএমএস