বিশ্বের পরাক্রমশালী দুই রাষ্ট্রপ্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রায় দুই ঘণ্টা ফোনালাপ করেছেন। তাদের দীর্ঘ এই ফোনালাপে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই ফোনালাপের ফলে প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের অবসান হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত আটটায় দুই প্রেসিডেন্টের কথোপকথন শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলে এই ফোনালাপ।
বিজ্ঞাপন
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটি দ্বিতীয় আলাপ।
আলোচনার মূল এজেন্ডা যে যুদ্ধ এবং যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে সেই ধারণা আগেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের প্রস্তাবে ইউক্রেন সম্মত হলেও স্বল্পমেয়াদী চুক্তিতে অনীহা রাশিয়ার।
বিজ্ঞাপন
৩০ দিনের ওই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পর পুতিন গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এই যুদ্ধবিরতিটি হতে হবে মূল সমস্যার ওপর। যেটির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। এছাড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটির বিস্তারিত জানতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের স্বার্থ রক্ষা হলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে। তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অংশ দখল করেছে রাশিয়া। যেগুলোকে তারা নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে।
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা শুরু আগে সোমবার রাত থেকে পূর্ব রাশিয়ার বিভিন্ন অংশে ধারাবাহিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির ফৌজ। ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার আস্ত্রখানে একটি তেল শোধনাগারে আগুন লেগে গিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি।
রুশ সেনা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা মোট ৭২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ৩৬টি কুর্স্ক অঞ্চলে। বাকিগুলি আস্ত্রাখানে। অন্যদিকে, ইউক্রেন সেনার দাবি তারা সোমবার থেকে ৯০টি রুশ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।
জেবি