সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইতিমধ্যে ফাঁসি হয়ে গিয়েছে ভারতীয় তরুণী শাহজাদি খানের। ভারতের অনুরোধ উপেক্ষা করে আদালতের দেয়া রায় পালন করে আমিরাত।সোমবার (৩ মার্চ) দিল্লি হাই কোর্টে এমনটাই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আদালতে জানায়, সংযুক্ত আর আমিরাত আইন মেনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহজাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বিজ্ঞাপন
শাহজাদি কেমন আছেন? তাকে কি ফাঁসি দেওয়া হয়ে গিয়েছে, না কি এখনও তিনি জীবিত? তা জানতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই তরুণীর বাবা সাবির খান।
ভারত সরকারের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েও কোন উত্তর পাননি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার ওই মামলা শুনানির জন্য ওঠে হাই কোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের বেঞ্চে।
সেখানে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা জানান, আগামী ৫ মার্চ আবু ধাবিতে তরুণীর জানাজা হবে।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুর পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলি যাতে তরুণীর পরিবারের জন্য সহজতর করা যায়, সে বিষয়ে সবরকম সাহায্য করবে বলেও আদালতে জানায় ভারত সরকার।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, শাহজাদির ফাঁসির কথা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দূতাবাসকে সরকারি ভাবে জানায় সেদেশের প্রশাসন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পর ঘটনাটি ‘দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক’ বলে জানিয়ে মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি।
উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার বাসিন্দা ছিলেন ওই ভারতীয় নারী। তাকে ২০২১ সালে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে।
আবুধাবিতে এক দম্পতির চার মাসের সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল তার। শিশুটির হঠাৎই মৃত্যু হয়। ওই দম্পতি শাহজাদির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন।
এর পরে তদন্ত করে আবুধাবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে সেখানকার আদালত ওই শিশুর মৃত্যুতে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে শাহজাদিকে এবং ফাঁসির নির্দেশ দেয়।
ফেব্রুয়ারিতে আরব আমিরাতের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছিল, শাহজাদির ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করা হয়েছে।
-এমএমএস