গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার দেশটির হামলায় আরও ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। সেফ জোন বা নিরাপদ এলাকা বলে চিহ্নিত বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ইসরায়েল এই বর্বর হামলা চালায়। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজার মাওয়াসি ‘সেফ জোনে’হামলা চালালে পাঁচ শিশুসহ ৪৯ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেক ফিলিস্তিনি।
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৮৮৫ জনে। আর আহত বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ১৯৬ জনে।
উদ্ধারকারীরা যেতে না পারায় এখনো বহু মানুষ হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। তাদের অনেকে মারা যেতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
দখলদার দেশটির নিরলস হামলা এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৮৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ নয় হাজার ১৯৬ জন।
গাজায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা উপেক্ষা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অফিস ছাড়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের জন্য আট বিলিয়ন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব করেছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ নিশ্চিত করেছেন যে গাজায় বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাতারে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে।
এমআর