বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

গাজায় দ্রুত গণহত্যা বন্ধ করতে বলল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ এএম

শেয়ার করুন:

গাজায় দ্রুত গণহত্যা বন্ধ করতে বলল রাশিয়া
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা। ফাইল ছবি

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় মানবিক বিপর্যয়, চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস এবং গণহারে বাস্তুচ্যুত করছে সেখানকার বাসিন্দাদের।


বিজ্ঞাপন


নেবেনজিয়া বলেন, গাজার বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, সেখানে লাখ লাখ মানুষ ইসরায়েলি হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে তীব্র শীতে কষ্ট করছেন। ঠান্ডায় অনেক শিশু মারা যাচ্ছে।

জাতিসংঘে এ রুশ কূটনীতিক বলেন, আমি দক্ষিণ গাজায় রোগীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রস্তাবকে সমর্থন করি। রাশিয়া ‘দ্বিজাতি তত্ত্বের’ ফর্মুলার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা কেবলমাত্র পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নিশ্চিত হতে পারে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর