সিরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যার ফলে সংঘাত কার্যত শেষ হয়ে গেছে- আগের এমন ধারণাও নস্যাৎ হয়ে গেছে।
হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। অপ্রত্যাশিত এই আক্রমণের মাধ্যমে তারা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং দেশটির সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। আক্রমণটি ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো আলেপ্পোতে রাশিয়ান বিমান হামলার সূত্রপাত করেছে।
বিজ্ঞাপন
যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় ১৪ বছর পর এই নতুন লড়াইয়ে সংঘাত অব্যাহত থাকার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে দেশটি কার্যত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে, যেখানে বাশার আল-আসাদের কর্তৃত্ববাদী শাসন, কুর্দি বাহিনী এবং ইসলামি বিদ্রোহীরা বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ করা কঠিন হবার পাঁচটি কারণ এখানে বর্ণনা করা হলো।
বিদেশি স্বার্থ
বিজ্ঞাপন
সিরিয়া এখন এক বৈশ্বিক দাবা বোর্ডে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলো তাদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য মিত্রদের সাহায্য করার ভান ধরে আসছে। তুরস্ক, সৌদি আরব এবং মার্কিন সমর্থিত বিকেন্দ্রীভূত সশস্ত্র বিরোধী দলগুলো আসাদকে চ্যালেঞ্জ করছে। তবে ইরান ও রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের কারণে আসাদের শাসন এখনো টিকে আছে।
সংঘাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-কায়েদার মতো চরমপন্থী জিহাদি সংগঠনগুলোর যুদ্ধের ময়দানে প্রবেশের ফলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন
এদিকে মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ার কুর্দিরা স্ব-শাসন চাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। আসাদের ক্ষমতা রক্ষায় রাশিয়া ও ইরান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, অন্যদিকে উত্তরে নিজস্ব সীমানা রক্ষা করতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে আসছে তুরস্ক।
২০২০ সালে রাশিয়া এবং তুরস্ক ইদলিবে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা করিডোর স্থাপন করে যৌথ টহল দেয়া শুরু হয়, তারপরও কিছু লড়াই অব্যাহত ছিল। এতে করে বড় আকারের সংঘর্ষ কমে এলেও সিরিয়ার সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়নি।

এখন বিদ্রোহীরা দুর্বল হয়ে পড়া সরকারের সুযোগ নিচ্ছে, কারণ আসাদ সরকারের প্রধান মিত্ররা অন্য সংঘাতে ব্যস্ত।
‘আসাদ সরকার বছরের পর বছর ধরে বিদেশি সমর্থনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করেছে এবং সফলভাবে টিকে গেছে। ইসরায়েলের কঠোর আক্রমণের ফলে হেজবুল্লাহর বিশাল পতন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্রমশ কমে আসা রাশিয়ার সম্পদ ও সরে যাওয়া মনোযোগ আসাদকে একা করে দিয়েছে, যা এইচটিএসের জন্য চমকপ্রদ আক্রমণ চালিয়ে পুনরায় অঞ্চল দখল করার উপযুক্ত মুহূর্ত তৈরি করেছে,’ বলেন মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. সাইমন ফ্রাঙ্কেল প্র্যাট।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ আবারও ফুঁসে ওঠার কারণ দুটো। একটি হলো উত্তর সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার পুরোপুরি সমাধান না হওয়া এবং অন্যটি হলো আসাদ সরকার যেসব বিদেশি সমর্থনের ওপর নির্ভর করেছিল তার ক্ষয় বা পতন।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এইচটিএসের শক্ত ঘাঁটি ইদলিব শহরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা হয়েছে, এতে বেসামরিক লোকজন আহত হয়।
অর্থনৈতিক ধস ও মানবিক সংকট
বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ সিরিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একইসাথে দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু, অবকাঠামোকে ধ্বংস এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে চরম দুর্দশায় ফেলেছে। এটি এমন একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে যেখান থেকে পুনরুদ্ধারের কোনো সুস্পষ্ট পথ নেই।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় যুদ্ধের আগের দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৬৮ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি লোক সীমিত সুবিধা নিয়ে ভিড়ে উপচেপড়া শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
এর বাইরে আরও প্রায় ৬০ লাখ মানুষ দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে, যার বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছে লেবানন, জর্ডান এবং তুরস্কে। এসব দেশে সবমিলিয়ে ৫৩ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন সিরিয়ার রেসপন্স পরিচালক ইমানুয়েল ইশ বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল এবং অনিশ্চিত। বিভিন্ন স্থানে লড়াই চলছে আর এর ফলে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এবং আমাদের উদ্বেগের বিষয় হলো যে ইতোমধ্যেই উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ২০ লাখ মানুষ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে, আবার বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে কেউ কেউ সাহায্য পাওয়ার আশায় সেখানে যাচ্ছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জায়গা দেয়ার মতো অবস্থা সেখানে নেই।’
২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ এই নতুন লড়াই শুরুর আগেই সিরিয়ায় এক কোটি ৫৩ লাখ মানুষের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন ছিল, যা রেকর্ড পরিমাণে সর্বোচ্চ। আর তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ।
তার ওপর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের গাজিয়ানটেপের কাছে হওয়া ভূমিকম্পের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। এতে সিরিয়ায় পাঁচ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৮৮ লাখ মানুষ।
তাছাড়া তেলক্ষেত্র এবং মূল বাণিজ্য রুটগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনৈতিক স্বার্থগুলোও এই উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে, যা মানবিক সংকটের সাথে মিলে দেশটিতে অসন্তোষ ও অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়াচ্ছে।
'আসাদ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বা সমঝোতা করতে ইচ্ছুক নয়, বিদ্রোহী দলগুলো তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং দেশে তাদের জায়গা সুরক্ষিত করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে', বলেন একজন বিশ্লেষক।
'আসাদ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বা সমঝোতা করতে ইচ্ছুক নয়, বিদ্রোহী দলগুলো তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং দেশে তাদের জায়গা সুরক্ষিত করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে', বলেন একজন বিশ্লেষক।
কর্তৃত্ববাদী শাসন
ক্ষমতা ধরে রাখতে আসাদ সরকার সহিংসতা ও দমন-পীড়নের ওপর নির্ভর করেছে। এটি অসন্তোষ উসকে দিয়েছে এবং সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে।
২০২১ সালের জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে সিরিয়ান সরকার কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন নৃশংসতা নথিভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক হামলা, জনবহুল এলাকায় বিমান হামলা, বেসামরিক মানুষদের ক্ষুধার্ত রাখতে দেওয়া অবরোধ এবং মানবিক সাহায্যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রামের পরিচালক জুলিয়েন বার্নেস-ডেসি বলেন, ‘এই যুদ্ধের কেন্দ্রে আছে কর্তৃত্ববাদ।’
‘আসাদ সরকার বরাবরই আপস করতে বা ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে অস্বীকার করেছে।’
জাতিসংঘের ধারণা, যুদ্ধের কারণে ২০২২ সাল নাগাদ আনুমানিক তিন লাখ ছয় হাজার ৮৮৭ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আরও হাজার হাজার মানুষ অনাহার, রোগ এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মারা গেছে।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাবিষয়ক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো বুরকু ওজসেলিক বলেন: ‘এই সরকার সুশাসনের পরিবর্তে টিকে থাকতেই বেশি মনোযোগী।’
বিভক্ত সমাজ
‘যদিও রাজনৈতিক বিভাজন এই সংঘাতের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, এটিও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, একটি শক্তিশালী সাম্প্রদায়িক প্রবাহ দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে,’ বলেন মি. বার্নস-ডেসি।
পূর্বদিকে কুর্দি-সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো যুদ্ধের প্রথম বছর থেকেই সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। এদিকে সিরিয়ার বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে আইএস-এর টিকে থাকা একটি অংশ নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে ট্রাফল নামের মাশরুম সংগ্রহের মৌসুমে স্থানীয়রা যখন লাভজনক খাবারের সন্ধান করে।
যুদ্ধের সময় ঠেলে দেয়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিব সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জন্যে একটি শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। আর কার্যত প্রদেশটির শাসক হিসেবে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্বও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তুরস্ক সমর্থিত বাহিনীসহ কিছু গোষ্ঠী কুর্দি যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তুরস্ক এসডিএফের মূল গোষ্ঠী পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটসকে (ওয়াইপিজি) একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
এইচটিএস তাদের আক্রমণ শুরু করার পরপরই, বিদ্রোহী জোটের অংশ তুরস্ক সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মি দাবি করেছে যে তারা আলেপ্পোর আশেপাশের গ্রামের এলাকাগুলো দখল করেছে।

এই অঞ্চলগুলো বাশার আল-আসাদের সরকারের অধীনে ছিল না বরং এসডিএফ-এর নিয়ন্ত্রণে ছিল, যা সংঘাতের বিভক্ত ও বহুমুখী প্রকৃতিকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।
ব্যর্থ আন্তর্জাতিক কূটনীতি
মূল অংশীদারদের পরস্পরবিরোধী এজেন্ডা থাকার কারণে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনাসহ শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান দলগুলো প্রায়ই সমঝোতার চেয়ে তাদের কৌশলগত লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, ফলে টেকসই সমাধানের সুযোগ খুব কম।
‘অন্তর্নিহিত বাস্তবতা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে: একদিকে আসাদ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বা আপস করতে ইচ্ছুক নয়, অন্যদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাকে উৎখাত করতে এবং দেশে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে,’ বলেন বার্নস-ডেসি।
ফ্র্যাঙ্কেল-প্র্যাট বলেন: ‘এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো বেশ চিন্তিত, কারণ কীভাবে এর সমাধান হবে তা স্পষ্ট নয়।’
‘এসব দেশ সাধারণত রক্ষণশীলভাবে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমরা হয়তো ইরান এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে অস্থায়ী চুক্তি দেখতে পাব যাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং বড় ধরনের উত্তেজনা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পক্ষ থেকে রক্ষণশীল পররাষ্ট্র নীতির পদক্ষেপ দেখা যেতে পারে।’
কিছু বিশ্লেষক ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন নীতি পরিবর্তনের কারণে অনিশ্চয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন। যেমন, তুরস্ক সাম্প্রতিক বিদ্রোহী আক্রমণে সমর্থন দিয়েছে বলে জানা গেছে যাতে করে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা যায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সাথে সুবিধাজনক আলোচনার পথ প্রশস্ত করা যায়।
তবে বার্নস-ডেসির মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যের কৌশল এখনও অস্পষ্ট। ‘ট্রাম্প বিশ্বের মধ্যে একটি শিবির আছে যারা ইসরায়েলপন্থী ইরানবিরোধী আগ্রাসী মধ্যপ্রাচ্য নীতি চায় আর অন্য একটি শিবির বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং মার্কিন প্রত্যাহারকে সমর্থন করে। ফলে ট্রাম্প ইরানকে লক্ষ্য করে মার্কিন হস্তক্ষেপ আরও জোরালো করবেন নাকি নিজেদের সমস্যা সমাধানের ভার আঞ্চলিক পক্ষগুলোকে দিয়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ত্বরান্বিত করবেন, তা এখনও অনিশ্চিত’, বলেন তিনি। -বিবিসি বাংলা
জেবি

